রমজানে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিকের প্রত্যাশা

বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবীর খান বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে অর্থ সংকট থাকার পরেও দাম আপাতত বাড়ছে না। সেই সাথে আগামী রমজানে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫ টায় রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃ মন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন উপদেষ্টা। 

উপদেষ্টা বলেন, ‘অর্থ সংকট থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই। আমাদের উপর অনেক প্রেসার থাকা সত্ত্বেও আমরা বিদ্যুতের দাম বাড়াইনি। ব্যয় সংকোচন করে আমরা সমন্বয় করছি। ’

রমজানে বিদ্যুতের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট এবং গ্রীষ্মে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে কারিগরি ত্রুটি ছাড়া কোনো লোডশেডিং না হয় সেই ব্যবস্থা থাকবে। রমজানে লোডশেডিংমুক্ত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রীস্মে দুটো কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে থাকে একটা সেচ এবং আরেকটি কুলিং। আমরা সেচে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখবো। গ্রীষ্মে বিদ্যুতের যে ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার কথা বলেছি তার মধ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট শুধুমাত্র কুলিংয়ের জন্য লাগছে। এয়ার কুলিং ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা যদি ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ব্যবহার না করে যদি ২৪ ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ব্যবহার করি সেক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।’

বর্তমানে বিদ্যুত খাতে ৯০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়, রমজানে ১২০০ এমএমসিএফডির প্রয়োজন হবে। সেই লক্ষ্যে গ্যাসের সরবরাহ যোগাতে ৪ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে।  

এদিকে, গ্যাসের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সংযোগে দাম বাড়বে না। কেবল শিল্পে যারা নতুন সংযোগ নেবেন বা বাড়তি লোড নেন, তাদের থেকে বাড়তি দামের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh