করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এ সময় আদা খাওয়া জরুরি। কেননা আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। তাছাড়া গরম পানি ও আদা গলার কফ এবং খুসখুসে কাশি দূর করে।
আদার পুষ্টিগুণ
আদায় রয়েছে ৮০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১.৮২ গ্রাম আমিষ, ১৭.৭৭ গ্রাম শর্করা, ২.০ গ্রাম ফাইবার, ০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ০.৭৫ গ্রাম চর্বি, ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৪১৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৩ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৪৩ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৬০ মিলিগ্রাম লৌহ ও ০.৩৪ মিলিগ্রাম জিংক।
পুষ্টিগুণে ভরা আদার স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা সাম্প্রতিক দেশকালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১. সর্দি-কাশি ও জ্বরে আরাম দেয় আদা। তাই এ ধরনের সমস্যায় আদা চা পান করতে পারেন।
২. গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদা। মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিস জনিত কিডনির জটিলতা দূর করে এটি।
৩. আদা সাইনাসের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন মাত্র ১ ইঞ্চি পরিমাণের আদা খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
৪. যাদের খাবারে অরুচি রয়েছে, যারা খাবারের কোনো স্বাদ পান না, তারা আদা খেতে পারেন। আদা কুচি খেলে মুখের রুচি ফিরে আসবে।
৫. হজমের সমস্যায়ও আদা দারুণ কার্যকরী। পেটে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা, হজমে গন্ডগোল হলে আদা কুচি খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
৬. গবেষকরা বলেন আদার রসে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইকারী উপাদান থাকে। আদা খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।
৭. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আদার রস খেতে পারেন।
৮. নারীদের ঋতুকালীন ব্যথাসহ যে কোনো ব্যথায় আদা কুচি কিংবা আদা চা পান করতে পারেন। জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা উপশমের ক্ষেত্রে আদা ইবুপ্রোফেন ওষুধের মতোই কাজ করে।
৯. আদা কোলেস্টেরলের স্তর কমাতে সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্যও আদা উপকারি।
১০. আদায় রয়েছে অ্যান্টিএইজিং উপাদান, যা বয়সের ছাপ দূর করে। এছাড়া আদা দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেহকে সুস্থ রাখে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : আদার পুষ্টিগুণ এ সময় আদা কেন খাবেন? ginger
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh