সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস মোটেই ভালো কিছু নয়। এর ক্ষতিকর প্রভাবের কথা কম-বেশি সবারই জানা। সিগারেটের ক্ষতিকর দিকের কথা লেখা থাকে এর প্যাকেটের গায়েও। একবার যারা আসক্ত হয়েছেন, তারা অনেকেই এই বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলেও পারেন না।
তবে যারা সত্যিই সিগারেট ছাড়তে চান, তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে কিছু খাবার।
- নিকোটিনের আসক্তিকে কমাতে সাহায্য করে মিন্ট। সেজন্য সিগারেট ছাড়তে চাইলে সব সময় সাথে রাখুন মিন্ট ফ্লেবারের চুইংগাম। সিগারেটের বদলে চিবুতে পারেন মিন্ট ফ্লেবারের চুইংগাম।
- দিনের মধ্যে কোন কোন সময়ে সিগারেট খেতেন সেদিকে খেয়াল করুন। এরপর সিগারেট খাওয়ার সময়টাতে মুখে দিন কয়েক দানা মৌরি। এর মানে এই নয় যে অতিরিক্ত মৌরি খাবেন। মৌরি সব সময় সাথে রাখুন। তবে খাবেন নিয়ন্ত্রণ রেখে। কারণ যেকোনো মসলা আমাদের স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে সেই মসলার প্রতি আসক্ত করে তুলতে পারে। শরীরের জন্য কোনো আসক্তিই উপকারী নয়।
- টক জাতীয় সব ফলেই থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। কমলা ও লেবুর অ্যান্টি টক্সিন ক্ষমতা শরীরকে দূষণমুক্ত করে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। সেইসাথে কমায় নিকোটিনের খারাপ প্রভাব। ড্রাই ফ্রুটসে ক্যালোরি থাকে বেশি। যে কারণে এটি খেলে বাড়ে শরীরের কার্যক্ষমতা। ফলে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরের পরিস্থিতি সামলানো সহজ হয়।
- পুদিনা পাতা ধূমপান ছাড়াতে বেশ কার্যকর। এজন্য কাঁচা পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে নিন। ধূমপানের ইচ্ছা হলেই পুদিনা পাতাগুলো চিবিয়ে নিন। নিকোটিনের প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমবে।
- আদা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আরো অনেক উপকার করে। ধূমপানের আসক্তি কমাতে আদার জুড়ি নেই। অল্প বিট লবণ মাখিয়ে আদা কুচি মুখে দিন। ধূমপানের প্রতি আগ্রহ কমবে।
- প্রতিদিন কাঁচা বা সিদ্ধ আমলকি খান। ধূমপানের ফলে শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বা টক্সিন দ্রুত সাফ হবে। ধূমপানের প্রতি আগ্রহ দ্রুত কমবে। সাতদিন যেতে না যেতেই ধূমপানের ইচ্ছা কমে যাবে।
- আঙুরে উপস্থিত অ্যাসিডিক এলিমেন্ট শরীর থেকে নিকোটিনকে বের করে দেয়। ফলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
- এক্ষেত্রে পানি ব্যাপক উপকারে লাগে। তাই তো সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা জাগলেই পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা করলে ধূমপানের ইচ্ছা যেমন কমে, তেমনি শরীরে উপস্থিত নিকোটিন বাইরে বেরিয়ে যাবে। ফলে নানাবিধ মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। কমে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও।
- এক গ্লাস পানিতে অল্প করে গোলমরিচ মিশিয়ে সেই পানি পান করলে ধূমপানের ইচ্ছা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফুসফুসও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, পানিতে গুলে যদি গোলমরিচ খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে খাবারে দিয়েও খেতে পারেন। একই উপকার মিলবে।
- ত্রিফলার স্বাস্থ্যগুণ অনেক। ধূমপান ছাড়তেও দুর্দান্ত কার্যকরী এই উপাদান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ত্রিফলা ভেজানো পানি খান। দেখবেন ধূমপানের ইচ্ছা কমবে।
- ধূমপান ছাড়ার পর যে যে লক্ষণগুলো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তা কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। আসলে মধুতে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন, এনজাইম এবং প্রোটিন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।