বিশ্বজুড়েই ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
দেহ পর্যাপ্ত পরিমাণে ইন্সুলিন তৈরি করার অবস্থায় না থাকলে ধরে নেওয়া হয় ডায়াবেটিস হয়েছে।
দেহের সব কোষের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হলো গ্লুকোজ। অগ্নাশয় ইন্সুলিন হরমোন নিঃসৃত করে রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
যখন গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশি থাকে তবে খুব বেশি না- তখন এই অবস্থাকে বলা হয় প্রিডায়াবেটিস।
এভাবেই ব্যাখ্যা করে হেল্থডটকম-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে মার্কিন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডা. কেলি উড বলেন, প্রিডায়াবেটিস হওয়ার সব কারণ নিয়ন্ত্রণ না করা গেলেও কিছু বিষয় আয়ত্তে রাখা যায়।
এই ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার পদ্ধতি পরিবর্তন করা জরুরি যাতে পরে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে না হয়।
লক্ষণ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। এমনকি প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ বুঝতেই পারে না তার প্রিডায়াবেটিস হয়ে বসে আছে। তবে কিছু লক্ষণ দেখে বোঝার উপায় রয়েছে। যেমন- বাহুমূলে বা ঘাড়ে কালচে চামড়া তৈরি হাওয়া।
কারণ
বিভিন্ন কারণে প্রিডায়াবেটিস হতে পারে। কারও কারও মাঝে ইন্সুলিন প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়। মানে হল- পেশি, চর্বি ও যকৃতের কোষ ইন্সুলিনের প্রতি সাড়া দেয় না ফলে রক্তের শর্করা ব্যবহারে দেহের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতে ক্ষতিপূরণ করতে অগ্নাশয় আরও বেশি ইন্সুলিন তৈরি করা শুরু করে।
অগ্নাশনের কোষ (বেটা সেলস) পর্যাপ্ত ইন্সুলিন উৎপন্ন করতে পারে না। যখন ইন্সুলিন ঠিক মতো কাজ করে না বা পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না তখন গ্লুকোজ বা শর্করা রক্তে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি মাত্রায় থেকে যায়, যাকে বলা হচ্ছে প্রিডায়েবিটিস। আর এই অবস্থা থেকে হতে পারে টাইপ টু ডায়াবেটিস।
ঝুঁকি
প্রিডায়াবেটিস হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে দুটি পরীক্ষা হল- ‘ফাস্টিং প্লাজমা গ্লুকোজ (এফপিজি) টেস্ট এবং এওয়ানসি বা রক্তে গ্লুকোজের উপস্থিতির গড় পরিমাণ পরীক্ষা করা।
প্রিডায়াবেটিসের চিকিৎসা
প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করা গেল ধমনী ও শিরা উপশিরার ক্ষতি এড়ানো যায়। না হলে হৃদপিণ্ড, বৃক্ক ও চোখের ক্ষতি হতে পারে।
জীবনযাত্রার পদ্ধতি পরিবর্তন, দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম এবং কোনো ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়।
জেনে রাখা ভালো যে, ডায়াবেটিস ও প্রিডায়াবেটিস প্রায় একই বিষয়। যেভাবে চিকিৎসা করা হয় সেভাবেই প্রতিরোধ করা যায় প্রিডায়াবেটিস। পরিণামে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোধ করা হবে।
প্রতিরোধ ব্যবস্থা
প্রিডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। ইতোমধ্যেই প্রিডায়াবেটিস হয়ে থাকলে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এসব পদ্ধতি। প্রিডাবেটিসের ঝুঁকি কমাতে যা করা উচিত তা হল-
সূত্র- হেল্থডটকম
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : ডায়াবেটিস প্রিডায়াবেটিস ইন্সুলিন হরমোন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh