দাঁতে কোনো গর্ত বা ক্যারিজ হলে যেমন দাঁত ব্যথা হয়ে থাকে। তেমনি দাঁতের ফিলিং খুলে গেলে, দাঁত ভেঙে গেলে, দাঁতের শ্বাস বা পালপ যে কোনো কারণেই আক্রান্ত হলেও দাঁত ব্যথা হতে পারে। তবে অনেকেই জানেন না, শীতে ঠাণ্ডার কারণেও অনেকের দাঁতের ব্যথা হয়ে থাকে। দাঁতের ব্যথা বা শিরশির কমাতে কোন কোন খাবার কার্যকরি তা জানতে হবে। এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে দাঁতের ব্যথা প্রতিরোধ করা যায়। কিছু মসল্লা জাতীয় খাবারও দাঁতের যন্ত্রনা অনেকাংশে লাঘব করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু বিষয়-
- রসুন একটি মশলা জাতীয় খাবার, এক কোয়া রসুন থেঁতলে নিয়ে অল্প একটু লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগালে অথবা রসুন চিবিয়ে খেলে দাঁতের ব্যথা কমে যায়। প্রতিদিন ২-৩ বার এই নিয়মে রসুন খেতে পারেন।
- লবঙ্গকে কয়েক ফোটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগালে ব্যথা অনেকাংশে কমে যায়।
- গোলমরিচের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতে কয়েক মিনিট লাগিয়ে রাখলেও ব্যথা কমে। এটা পর পর কয়েকদিন করলে উপকার পাওয়া যায়।
- এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেলে ব্যথা কমে যায়।
- আধ চা চামচ হিং গুড়া দুই টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগালে ব্যথা কমে যায়।
- এক গ্লাস অল্প গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলিকুচি করলে ব্যথা কমে।
- পেয়ারা পাতা দাঁত ব্যথায় দারুণ উপকারী। দুটো পেয়ারা পাতা চিবিয়ে আক্রান্ত দাঁতে চেপে রাখলে ব্যথা উপশম হয়।
- ঠান্ডা বা বরফ জাতীয় খাবার দাঁতের ব্যথা কমাতে সহায়ক।
- ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট দাঁত ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- দূর্বা ঘাসের রসও দাঁত ব্যথা কমাতে পারে।
- এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন, ভালভাবে মিশ্রনটি নেড়ে কুলিকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে এটা দিনে করা ভালো।
- গ্রিন টি ঠান্ডা করে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
- আবার মরিচে থাকা ক্যাম্পসাইমিন উপাদান দাঁতের ব্যথা উপশমে কাজ করে।
এসব ঘরোয়া উপায়ে যদি ব্যথা না কমে সেক্ষেত্রে ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।
ডা. অনুপম পোদ্দার
অধ্যক্ষ, খুলনা ডেন্টাল কলেজ।