অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহতার পর এবার চীনে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) সংক্রমণ ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। অজানা জীবাণুটির মোকাবিলায় ইতোমধ্যে বেইজিং প্রশাসন স্ক্রিনিং, শনাক্তকরণ এবং আলাদা রাখার প্রক্রিয়া জোরদার করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে লাইভমিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের উত্তর প্রদেশগুলোতে বিশেষ করে ১৪ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে এইচএমপিভি সংক্রমণের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। অজানা উৎস থেকে ছড়িয়ে পড়া এই বিশেষ নিউমোনিয়া শনাক্তের জন্য চীনের সরকার পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে।
পাঁচ বছর আগের ভয়াবহ কোভিড-১৯ মহামারিকে বিবেচনায় রেখে এবার আগেভাগে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে যাতে সেই বারের মতো প্রাণহানির পুনরাবৃত্তি এড়ানো যায়। এইচএমপিভি ছাড়াও দেশটিতে রাইনোভাইরাসের মতো আরেকটি সংক্রামক রোগ ছড়ানোর ঝুঁকিও রয়েছে।
রহস্যজনক এইচএমপিভি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: এইচএমপিভি ভাইরাসটি যে কোনো বয়সের মানুষের শ্বাসতন্ত্রের ওপরের এবং নিচের অংশে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তবে শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ভাইরাসটি প্রথম ২০০১ সালে শনাক্ত করা হয়।
সংক্রমণের উপসর্গ: যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, এই রোগের উপসর্গ শীতকালীন অন্যান্য ভাইরাসজনিত সংক্রামকের মতো। কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট।
এই সংক্রমণের উপসর্গ গুরুতর হয়ে ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে। এটি শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী অন্যান্য ভাইরাসের মতো সক্রিয় থাকে। সংক্রমণের ইনকিউবেশন পিরিয়ড সাধারণত তিন থেকে ছয় দিন, অর্থাৎ সংক্রমিত হওয়ার তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে শরীরে উপসর্গ স্পষ্ট হতে পারে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh