অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসে নায়িকার আয় দেড়শ কোটি!

বছর বিশেক আগেও ছিলেন অপরিচিত। ম্যাগাজিনে নাম আসতো দাপুটে আইনজীবী বাবার মেয়ে হিসেবে। এরপর নিজের কয়েকটি প্রেমকাণ্ডে আলোচিত হতে থাকেন তিনি। সেভাবে রাতারাতি মিলে যায় তারকা খ্যাতিও। প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপন ভিডিও ফাঁসের পর যেন জীবন বদলে যায় তার। সমালোচিত সেই কাণ্ডে নাকি প্রচুর আয়ও হয় তার। সেই আয়ের সংখ্যা টাকায় প্রায় দেড়শ কোটি! আলোচিত এই তারকার নাম কিম কার্দাশিয়ান।

গতকাল শনিবার (২০ মার্চ) ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই মডেলের উঠে আসার কাহিনী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিলটন হোটেলস-এর উত্তরাধিকারী প্যারিস হিলটনের বন্ধু হিসেবে প্রথম তার পরিচিত তৈরি হয়। এরপর ২০০২-এ কাজ নেন হিপ হপ গায়িকা ব্র্যান্ডির স্টাইলিস্ট হিসেবে। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় ও প্রেম হয় ব্র্যান্ডির ছোটভাই উইলি ‘রে জে’ নরউডের সঙ্গে।

এর কিছুদিন পরেই রে জে'র সঙ্গে এক অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপন ভিডিও ফাঁস হয় কার্দাশিয়ানের। এতেই রীতিমত তারকাখ্যাতি পান তিনি।

একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের দাবি, ২০০২ সালের অক্টোবরে ২৩তম জন্মদিন পালন করতে রে জে-র সঙ্গে মেক্সিকোর কাবো সান লুকাসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন কিম।

সেখানে ক্যামকর্ডারও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন কিম এবং রে। ছুটির মজাদার ছবি ছাড়াও তাতে বন্দি হয়েছিল দু’জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। সেটিই পরে ফাঁস হয়ে যায়।

তবে সেই ভিডিও ফাঁস হল কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দুজনেরই। পাল্টাপাল্টি দোষারোপ চলছে এখনো। যদিও ‘কিম কার্দাশিয়ান, সুপারস্টার’ নামে ওই ভিডিওতে জনপ্রিয়তা কমেনি। অনলাইনে ওই ভিডিওটি এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি বার।

২০০৭ সালে কিমের ভিডিও ফাঁসের আগেই সমালোচিত হয়েছিলো তার বন্ধু প্যারিস হিলটনের একটি গোপন অন্তরঙ্গ দৃশ্য। 

২০০১ সালে ভিডিওটি করেছিলেন প্যারিস নিজেই। যেখানে তার সঙ্গে ছিল তখনকার বয়ফ্রেন্ড রিক সলোমন। ওই ভিডিও ফাঁস হয় ২০০৪ সালে।

প্যারিসের দাবি তিনিও জানতেন না কীভাবে ফাঁস হল তার সেই ভিডিও। তবে আমেরিকার একটি ট্যাবলয়েডের দাবি, ‘১ নাইট ইন প্যারিস’ নামে ওই ভিডিও ফাঁসের জন্যে ১০ লাখ ডলার নিয়েছিলেন প্যারিস।

তবে ২০০৭-এ প্যারিসকে পেছনে ফেলে দেন কিম। পর্ন ছবির নির্মাতা একটি প্রতিষ্ঠান সেই ভিডিও প্রকাশ করে। তবে ফাঁস করা সেই ভিডিও তাদের হাতে পৌঁছানো নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

৪১ মিনিটের ভিডিও ফাঁস না হওয়ার জন্যে আইনি লড়াইও করেছিলেন কিম। তবে শেষমেশ তাতে সফল হননি তিনি।

২০০৭ সালের ২১ মার্চ ভিডিওটি প্রকাশের পর কোটি কোটি দর্শক সেটি দেখেছিলেন। আর এতেই অখ্যাত এক স্টাইলিস্ট থেকে রাতারাতি তারকার খ্যাতি পেয়ে গিয়েছিলেন কিম।

ফাঁস হওয়া ভিডিও থেকে কিমের নাকি আয় হয়েছিলো ২ কোটি ডলার। যাতে ভারতীয় মুদ্রায় অন্তত দেড়শ কোটি টাকার মতো হতো। আয়ের হিসেবে যেটি প্যারিসকে ছাড়িয়ে যায়।

তবে এজন্যে মূল্যও দিতে হয়েছে তাকে। প্যারিসের সঙ্গে কিমের বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যায় ওই ঘটনার পরেই।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //