আমরা অনেকেই বসার ঘর কিংবা বারান্দা গাছ দিয়ে সাজাতে পছন্দ করি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এটি ছোট পদক্ষেপ হলেও খুব কার্যকর। কী কী গাছ লাগালে আমাদের জন্য উপকার সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না। জেনে নেওয়া যাক এরকম কয়েকটি গাছ সম্পর্কে-
মানি প্ল্যান্ট : ঘরোয়াভাবে মানি প্ল্যান্ট বেশ জনপ্রিয়। এর রক্ষণাবেক্ষণেও খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। সামান্য যত্ন পেলেই এই গাছ রূপের ছটা ছড়িয়ে তরতর করে বেড়ে ওঠে। ঘরের বাতাস শুদ্ধ রাখতে এই গাছ বিশেষ সহায়ক। গাছটি রাতে অক্সিজেন দেয় এবং বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে।
স্নেক প্ল্যান্ট : স্নেক প্ল্যান্ট লিলি গোত্রের একটি বিশেষ ঘরোয়া উদ্ভিদ। গাছটি বাড়ির এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে হালকা আর্দ্রতা আছে। এই গাছ বৃদ্ধি করতে আর্দ্রতা প্রয়োজন। এই উদ্ভিদটি অনেক ক্ষতিকর পদার্থ শোষণ, বায়ু পরিশোধন করে। অনেক সময় স্নেক প্ল্যান্ট বাতাসে আর্দ্রতা নিঃসরণ করে এলার্জিবাহী কণাকে হ্রাস করে।
অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরা ঘৃতকুমারী নামেও পরিচিত। এই উদ্ভিদে অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়, পাশাপাশি ত্বক, চুল ভালো রাখতেও এর জুড়িমেলা ভার। অ্যালোভেরা বাতাস পরিশোধন এবং ঘর ঠান্ডা করার আদর্শ গাছ। এই গাছটি বৃদ্ধি করতে খুব বেশি পানি এবং সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয় না। এই গাছ বায়ুতে থাকা ফরমালডিহাইড, বেনজিন এবং কার্বন মনোক্সাইড অপসারণ করে।
তুলসী : ঔষধি গাছ হিসেবে তুলসী গাছও বেশ জনপ্রিয়। গাছটি সামান্য সূর্যের আলোতেই বেড়ে উঠতে পারে। এটি মশা, পোকামাকড় দূর করে এবং বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া এটি বাতাস থেকে অনেক ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করে।
স্পাইডার প্ল্যান্ট : স্পাইডার প্ল্যান্ট এমন একটি উদ্ভিদ, যা বায়ু বিশোধকের কাজ করে। এই উদ্ভিদটি বাতাস থেকে জাইলিন, বেনজিন, ফরমালডিহাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক উপাদানগুলো দূর করে। এই গাছের পেছনে বেশি সময় দিতে হয় না, পরিচর্যার জন্য বেশি কষ্ট করার প্রয়োজন পড়ে না।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : গাছ মানি প্ল্যান্ট স্নেক প্ল্যান্ট
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh