আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০ ছাড়িয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদাপানিতে ধুয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি।
গতকাল শনিবার (১১ মে) বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা জিনহুয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১০ মে) আফগানিস্তানের বাঘলান, তাখার ও বাদাকাশানের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর ও হেরাত প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে প্রদেশগুলোতে। গ্রামের পর গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদায় ঢেকে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বহু মানুষ বাঘলানের হাসপাতালে জড়ো হয়েছেন। তারা সবাই তাদের স্বজনকে খুঁজছেন। এ সময় একজন কর্মকর্তা বলেন, তাদের কবর খনন শুরু করা উচিত। তাদের কর্মীরা দাফনের জন্য মরদেহগুলোকে প্রস্তুত করছেন।
তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সরকার বন্যাকবলিতদের উদ্ধার, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং মৃতদের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদেরকে খাদ্য, ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মাসের মাঝামাঝিতেও দেশটির ১০টি প্রদেশ বন্যার কবলে পড়ে, যেখানে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : আফগানিস্তান বন্যা মৃত্যু বিশ্ব খাদ্য সংস্থা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh