গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় প্রার্থীরা, ইভিএমে শঙ্কায় ভোটাররা

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার তৃতীয় দিন। ইতোমধ্যে প্রচারণায় নেমেছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করছেন।

এছাড়ায় শহরের অলিতে গলিতে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। বসে নেই মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দুপুর দুইটার পর থেকে প্রচারণার কথা থাকলেও সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোটারদের সাথে কথা বলছেন, প্রার্থী ও সমর্থকরা। তবে ভোটারদের মধ্যে ইভিএম নিয়ে এখনো শঙ্কায় রয়েছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৮ জন মেয়র, ২৩৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৭৭ জন  সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। এ নির্বাচনে ৪৮০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩ হাজার ৪৯৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৬ হাজার ৯৯৪ জন পোলিং অফিসারসহ ১০ হাজার ৯৭১ জন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা থাকবে।

সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচন করছেন বলে জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন , মায়ের সাথে মাঠে রয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তার মায়ের পাশে লাখ লাখ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন, জাহাঙ্গীর আলম। জিএমপি কাশিমপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান জায়েদা খাতুন ও তার কর্মীরা।

অন্যদিকে বিএনপি ঘরানার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহানুর ইসলাম রনি জিএমপি কোনাবাড়ি থানার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণার কাজ করেন, ভোটারদের দেখা করে ভোট প্রার্থনা করেন। 

স্বতন্ত্রী মেয়র প্রার্থী সরকার শাহানুর ইসলাম রনি জানান, তার পাশে সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থনা রয়েছে। ভোট কারচুপি না হলে তিনি বিজয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে, জাতীয়তাবাদি শক্তি গাজীপুরের জন্য একটি বড় শক্তি। ২০১৮ সালে ভোট কারচুপির কারণে জাতীয়তাবাদির পক্ষে বিজয় হয়নি। কিন্তু এবার আশা করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে জাতীয় পাটির সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন জানান, এখনো ভোটাররা ইভিএম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। এক জনের ভোট অন্য জায়গায় চলে যাবে কিনা। এটা একটি ত্রুটিপূর্ণ মেশিন। ত্রুটিপূর্ণ বলেই বিএনপির আন্দোলনের মুখে জাতীয় নির্বাচন থেকে ইভিএম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নিয়াজ উদ্দিন, কাশিমপুরের বারান্ডা, সারদাগঞ্জ ও হাতিমারা এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //