ঢাকার ধামরাইয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদমান জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয় বলে জানা যায়।
আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের উত্তর হাতকোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধামরাইয়ের পারুহালা মৌজার আরএস ৩০ খতিয়ান ২৪৬ দাগে ৩৭ শতাংশ এবং আরএস ২৩১ খতিয়ানে ৭০৫ দাগের জমি নিয়ে স্থানীয় মো. জসিম উদ্দিন ও আ. করিমের পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে মো. জসিম উদ্দিন গত ২৮ অক্টোবর আদালতে মামলা করেন। আদালত ওই জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দুই পক্ষকেই আদেশ দেন।
ধামরাই থানা সূত্র জানায়, আদালতের ওই নির্দেশ বৃহস্পতিবার ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তালুকদার সজিব হোসেন দুই পক্ষের কাছে পৌঁছে দেন। তবে শুক্রবার সকালে সেখানে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে বিবাদীপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে বাদীপক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাদী মো. জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, তার বাবা ও চাচারা তিন ভাই। তার দাদা দুটি দাগে ৩৭ শতাংশ ও ৯ শতাংশ জমি রেখে যান। ৩৭ শতাংশের জমি থেকে ১ শতাংশ সড়কের জন্য রাখা হয়। বাকি ৩৬ শতাংশে তিন ভাই যথাক্রমে ১২ শতাংশ করে জমি পাওয়ার কথা। অপর জমিতে একেকজন ৩ শতাংশ করে জমি পাওয়ার কথা। তবে বিবাদীরা ১২ শতাংশসহ ৯ শতাংশের পুরো জমিই দখলে রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হওয়ায় তারা মামলা করেন। আদালত ওই জমিতে কোনো কর্মকাণ্ড করতে নিষেধাজ্ঞা দেন। তবে বিবাদীরা জবরদস্তিভাবে সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু করে। বিষয়টি পুলিশে জানালে পুলিশ কাজ বন্ধ করে দেয়।
বিবাদী আ. করিমের দাবি, ওই জমি তার দাদার নামে নয়, তার বাবার নামে আছে। তবে সেই কাগজ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অস্বীকৃতি জানান।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মণ্ডল বলেন, সেখানে ১৪৫ জারি করা হয়েছে। পুলিশ সেখানে বিষয়টি জানিয়েছে। তবে বিবাদীপক্ষ সেটি না মেনে ঘর নির্মাণ করতে যায়। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে বিবাদীরা এলোমেলো কথা বলে। আমরা দুই পক্ষকে শান্ত করে আসি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : সাভার আদালতের নিষেধাজ্ঞা ধামরাই উপজেলা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh