বেনাপোল ইমিগ্রেশনে অধিকাংশ এসি নষ্ট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায়ই ৭-৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। এমনিতেই দুই দেশের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে ভোগান্তির শিকার হন পাসপোর্ট যাত্রীরা। সেই সঙ্গে গত দুই সপ্তাহের তীব্র গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের ভিতরে আগমন এবং বহির্গমন পাশে দেয়ালে লাইন ধরে লাগানো আছে বেশ কয়েকটি এসি। এগুলো অধিকাংশই নষ্ট। নিয়মিত ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করেন- এসব যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্প্রতিবার (২ মে ) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে দেওয়ালে লাগানো এসিগুলো কাজ করে না দীর্ঘদিন ধরে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা রীতিমতো ভিসা ফি, ভ্রমণ ফি এবং প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ফি দিয়ে ভ্রমণ করছেন। সেবা পাচ্ছে না কানা-কড়িও। বেশি ভোগান্তিতে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তারা ঘেমে ভিজে যাচ্ছেন। এসব দেখার কেউ নেই।

যাত্রীদের অভিযোগ, তারা সরকারের বিভিন্ন ফি দিয়ে ভারতে যান। এদের মধ্যে কেউ যাচ্ছেন বেড়াতে, কেউ চিকিৎসা নিতে কেউ বা যাচ্ছে ব্যবসার কাজে। আবার কারোর গন্তব্য আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে। অধিকাংশই তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে যাচ্ছেন। চলমান তীব্র এই গরমে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে পাসপোর্টধারী  যাত্রীদের পাসপোর্টের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাতে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছেন। ঘেমে ভিজে অনেকেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

ঝিনাইদহ থেকে ভারত ভ্রমণে আসা জুয়েল রানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ট্রেনে করে বেনাপোল আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে। সেখানেও ছিল অসহনীয় গরম। তারপর ভ্রমণ ফি ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ দিয়ে লাইনে ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে আসি। এখানে ও সীমাহীন গরম। ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের দেওয়ালে এসি সাটানো থাকলেও অধিকাংশই অচল, কাজ করে না। তাহলে এতো টাকা খরচ করে আমরা কি সেবাটা পাচ্ছি?

ঢাকার যাত্রী দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিজের শিশু বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য অতি জরুরিভাবে ভারতে যাচ্ছি। বাইরে সর্বত্র তীব্র গরম। মনে করেছিলাম অফিসের ভেতরে একটু এসির ঠান্ডা পাবো। হিতে বিপরীত। এখানে আরো গরম। এসি থাকলেও এগুলো চলে না। তবে তিনি মনে করেন কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে যোগদানের পর থেকে দেখেছি এসিগুলো অধিকাংশই নষ্ট। এসিগুলো নষ্ট থাকায় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এগুলো দেখাশোনা করে থাকেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উনারাই ভালো বলতে পারবেন দীর্ঘদিন ধরে এসিগুলো নষ্ট থাকলেও কেন মেরামত করা হচ্ছে না। বিষয়টি কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জনস্বার্থে এসিগুলো মেরামত করা জরুরি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //