পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

অবুঝ শিশু বাবার কফিনের পাশেই কাঁদছে

রাজধানীর গুলশানে কূটনৈতিকপাড়ায় সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে চলছে আহাজারী। মাত্র আঠারো মাসের ছেলে কিছু বুঝে উঠতে না পেরে বাবার কফিনের পাশেই চিৎকার করে কাঁদছে। কেউই থামাতে পারছেন না তার কান্না।

গতকাল রবিবার (৯ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাড়িতে মনিরুলের মরদেহ পৌঁছার পর থেকে চলছে শোকের মাতম। 

মনিরুল ইসলাম নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক মাস্টারের ছেলে। মনিরুল তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ছোট।

আজ সোমবার (১০ জুন) সকালে মনিরুলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পরে আছেন তার স্ত্রী তানিয়া সুলতানা তন্বি। দুজন নারীর তন্বির মাথায় পানি ঢালছেন। আঠারো মাসের ছেলে তাকির চিৎকারে সংজ্ঞা ফিরে তন্বির। এসময় বলতে শোনা যায়, আমার স্বামীকে যেভাবে হত্যা করছে তাকেও এভাবে মারা হোক। আমার স্বামীকে যতটুকু কষ্ট দিয়ে মারছে। তাকেও এভাবে কষ্ট দিয়ে মারা হোক। আমার স্বামী একজন পুলিশ সদস্য তাকে কেন গুলি করে মারলো। আমি এর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমার সন্তানের কি হবে? আমার সন্তানকে কে দেখাবে? বলতে বলতে আবারো জ্ঞান হারান তিনি।

এদিকে সোমবার সকাল ১০টায় বিষ্ণুপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে মনিরুলের জানাযা সম্পন্ন হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় শত শত লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ সদস্য কনস্টেবল কাওসার আলী। মনিরুল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। 

এদিকে মনিরুলের জানাজায় উপস্থিত হয়ে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাওহিদুর রহমান জানান, ‘সহকর্মীর এভাবে মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যে জড়িত তার সর্বোচ্চো শাস্তি দাবি করছি।’

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //