তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি

উজানের ঢল  ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা  ছুঁই ছুঁই করছে। এতে জেলার ৫ উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও তিস্তা চরাঞ্চলের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার (৩০ জুন) সকাল ৬টা থেকে দোয়ানি তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ  দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। 

এর আগে গতকাল শনিবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতেই পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। যে কোন মহুর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। একই পয়েন্টে গতকাল শনিবার বিকাল ৩টা পানি বিপদসীমার ৪০সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ  করেছে। চর এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলা পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অন্ততঃ দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের গোবর্ধন চর এলাকার আলী হোসেন জানান, শনিবার বিকাল থেকে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যার মধ্যেই তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। আর রাতেই সেই পানি বিপদসীমার ছুঁই ছুঁই  হওয়ায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়।

সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই  করায় নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গতকাল শনিবার (৩০ জুন) বিকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টায়  তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে  পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতের মধ্যে পানি প্রবাহ আরও বেড়ে রবিবার সকাল ৬টা থেকে একই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //