গাজার শরণার্থীশিবিরে দুই দফা বোমা হামলা, হাজারো হতাহত

২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে দুই দফা বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় শরণার্থীশিবিরটিতে হতাহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। গাজার প্রশাসনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজা প্রশাসন বলছে, দুই দফার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৯৫ জন নিহত হয়েছে। এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি ১২০ জনকে। তারা বেঁচে আছে নাকি নিহত হয়েছে, সে বিষয়েও কোনো তথ্য জানা যায়নি। নিহত ও নিখোঁজের বাইরেও ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৭৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে।

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাবালিয়ায় শরণার্থীশিবিরে চালানো এ হামলাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন। আর জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, এসব নির্বিচার হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জাবালিয়া আশ্রয়শিবিরের এ হামলাকে ভয়াবহ ও মর্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটির হিসাব অনুসারে, গত ২৫ দিনে গাজায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুদের হত্যা ও আটক করা বন্ধ করতে হবে।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) বিদেশিদের জন্য প্রথমবারের মতো রাফাহ সীমান্ত খুলে দিয়েছে মিসর। এর পর থেকে বহু বিদেশি পাসপোর্টধারী যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ছাড়তে শুরু করেছে। 

রয়টার্সকে একটি সূত্র জানায়, বিদেশি পাসপোর্টধারী ও মারাত্মকভাবে জখম ব্যক্তিদের গাজা ছেড়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে মিসর, ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার। চুক্তিতে মিসর ও গাজা সীমান্তবর্তী রাফাহ দিয়ে বিদেশি পাসপোর্টধারী ও গুরুতর আহত ব্যক্তিদের উপত্যকাটি ছেড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। 

সূত্র আরও জানায়, এই চুক্তিতে খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসাসামগ্রীর মারাত্মক সংকটে ভোগা গাজার মানবিক সংকট কমাতে যুদ্ধবিরতি কিংবা হামাসের হাতে জিম্মি থাকা বিদেশিসহ ইসরায়েলিদের বিষয়ে কোনো মধ্যস্থতা হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় ৮ হাজার ৭৯৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //