গাজায় ইসরায়েলের বিভৎস গণহত্যা, নিহত ২১০

অবরুদ্ধ গাজায় হামাসের হাতে বন্দি চার জিম্মিকে উদ্ধারে এক নারকীয় ও বিভৎস গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার (০৮ জুন) উপত্যকায় সাগর, আকাশ ও স্থলপথে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে অন্তত ২১০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। 

পাশবিক ওই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি। হতাহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছেন। প্রেসটিভি জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় দেইরাল বালাহ ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে শনিবারের ইসরাইলি পাশবিকতা কেন্দ্রীভূত ছিল। তারা বেসামরিক ওই এলাকায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দখলদার সেনারা সরাসরি বেসামরিক নাগরিকদের উপর বোমাবর্ষণ করেছে। ইসরাইলি সেনাদের গণহত্যায় আহতদেরকে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল আদওয়া হাসপাতাল ও দেইরাল বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আল-আকসা হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা এত বেশি যে তাদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা কঠিন। অনেক আহত ব্যক্তির কাছে সময়মতো পৌঁছাতে না পারার কারণে হাসপাতালের মেঝেতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের করিডোরে পড়ে থাকা বহু আহত ফিলিস্তিনির শরীর রক্তে ঢেকে আছে। তারা প্রচণ্ড ব্যথায় কাঁতরাচ্ছেন কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকায় তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং এক সময় তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন।

অন্যদিকে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো গাজায় শনিবারের গণহত্যার খবর প্রচার না করে শুধুমাত্র তাদের চার বন্দিকে মুক্ত করে নেয়ার খবর ফলাও করে প্রচার করেছে। ইসরাইলি সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছে, তারা ‘এক জটিল অভিযান’ চালিয়ে তাদের চার পণবন্দিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর আল-আকসা তুফান অভিযানের প্রথম প্রহরে এসব পণবন্দিকে গাজায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখনও গাজায় হামাসের হাতে ১১৬ ইসরাইলি পণবন্দি আটক রয়েছে যাদের মধ্যে অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হামাসের সিনিয়র নেতা সামি আবু জুহরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, নয় মাস পর চার পণবন্দিকে উদ্ধারের ঘটনা ইসরাইলের জন্য কোনো সাফল্য বয়ে আনেনি বরং এটি তেল আবিবের ব্যর্থতারই সুস্পষ্ট প্রমাণ। 

সূত্র: পার্সটুডে



সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //