নুরের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি রেজা কিবরিয়ার

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণের ‘বেআইনি’ পদক্ষেপের জন্য নুরুল হক নুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ড. রেজা কিবরিয়া। আজ রবিবার (২ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। 

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, নূর আমাকে অপসারণ করতে এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন যে আইনত ভোট না নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অথচ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক বা সভাপতিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট (৮১ ভোট) প্রয়োজন। এটা এখানে ঘটেনি।

এছাড়া নুর ও তার সহযোগীরা কমিটির কয়েকজন সদস্যের স্বাক্ষর জাল করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

রেজা কিবরিয়া সতর্ক করে বলেন, যারা স্বাক্ষর করেননি সেখানে আপনারা তাদেরও স্বাক্ষর দেখতে পাবেন। এটি একটি গুরুতর বিষয়। সেজন্য আমরা নুরুল হক, রাশেদ খান ও শাকিল উজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল এবং অনিয়মের মাধ্যমে ভোট নেওয়ার জন্য মামলা করব।

তিনি বলেন, আমাকে অপসারণের জন্য ভোটের সময় মাত্র ৩৬ জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য স্বাক্ষর করেছিলেন। আহ্বায়ককে অপসারণ করতে কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১টি ভোটের প্রয়োজন থাকলেও বাকিরা স্বাক্ষর করেননি। তাই তারা আমাকে অপসারণ করতে পারেনি।

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, একজন ব্যক্তির জন্য দল এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। আমি মনে করি আমরা সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে পারব, কারণ আমাদের দলকে বাঁচানোর জন্য অনেক ভাল লোক রয়েছে।

এর আগে, গত শনিবার নুরের নেতৃত্বাধীন দল গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াকে তার পদ থেকে সরিয়ে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে নিয়োগ দেয়।

দলের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সেই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার এবং জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের মূলমন্ত্র নিয়ে রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক এবং ডাকসু’র সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরকে সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ যাত্রা করে।