‘বিশ্বের কোনো দেশের সীমান্তে কি গুলি করে মানুষ মারে?’

ভারতের কাছে বাংলাদেশকে সরকার জিম্মি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন তুলেছেন, পৃথিবীর কোনো দেশের সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারে? এছাড়া তিনি দেশের অস্তিত্ব আজ বিলুপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।  

ভারতের সঙ্গে সব চুক্তি ও সমঝোতা করা হয়েছে দেশের স্বার্থের বাইরে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে দেশে রাজনৈতিক সংকট থাকবে না। সুষ্ঠু ভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাদেরকে স্বাগত জানাবে বিএনপি।

এসময় ফখরুল অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে চক্রান্ত করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। বিপন্ন হবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। ৬ মাস পরপর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এটাও সরকারের নতুন একটি ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল তারাই, যারা বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল হিসেবে দেখতে চায়। তারপর থেকে গণতন্ত্রের পতাকা উড্ডীন করে রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। তিনি ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় বলেছিলেন, ‘আমি রায়ের পরে কোথায় থাকব জানি না। তবে আপনারা গণতন্ত্রের আন্দোলনে পিছপা হবেন না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। আমার প্রশ্ন খালেদা জিয়াকে কেন বন্দী করেছেন? তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বন্দী রাখা হয়েছে। আজ যারা দেশ শাসন করছে তারা দেশকে বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে। দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বাদ যায়নি, সবগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তারা ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসন কায়েম করছে।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমান্তরাল। তাকে মুক্ত করা মানেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করা। আজকে দেশ নিয়ে যেসব চুক্তি করা হয়েছে তাতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকিতে। আমি বলব, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন না। কী এনেছেন ভারত থেকে? পানির কথা তো কোথাও নেই। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি সমস্যার সমাধান হলো না। সীমান্তে হত্যা নিয়ে কথা বলেন না। বিশ্বে কোন বন্ধু দেশ আছে যে তার বর্ডারে বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ঘিরে আশপাশের এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //