ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:৩১ পিএম | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:১৫ পিএম
ছবি: ডয়চে ভেলে
নিউজিল্যান্ডের একটি আগ্নেয়গিরিতে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় পাঁচজন নিহত, বেশ কয়েকজন আহত ও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে দেশটির প্রশাসন।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমাবার দুপুর ২টা ১১ মিনিটের দিকে দেশটির নর্থ আইল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের অদূরে হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্গিরিত ছাই শূন্যে কয়েক হাজার ফিট উপরে উঠে যায়।
অগ্ন্যুৎপাতের কয়েক মুহূর্ত আগেও হোয়াইট আইল্যান্ডের ওই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের সীমানার মধ্যে পর্যটকদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
এদিকে নিখোঁজ ও আহত পর্যটকদের সংখ্যা ঠিক কত, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড প্রশাসন। কী করে ওই আগ্নেয়গিরির কাছে পর্যটকরা পৌঁছলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রতিদিনের মতো এ দিনও অসংখ্য পর্যটক সেই দ্বীপটি দেখতে গিয়েছিলেন। তখনই দ্বীপের মধ্যে থাকা আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। প্রায় ১০ হাজার ফুট পর্যন্ত আগুন ওঠে এবং লাভা স্রোত বইতে শুরু হয়। অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে আসেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, দ্বীপটিতে প্রায় ১০০ জন পর্যটক ছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। অনেকেই আহত হয়েছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। তাদের মূল ভূখণ্ডে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আরো কেউ সেখানে আটকে আছেন কি না, তার খোঁজ চলছে।
স্থানীয় এলাকার মেয়র জানিয়েছেন, আহতদের দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তারা দ্বীপটিতেই গিয়েছিলেন, না কি আশেপাশে ছিলেন, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকেই বোঝার চেষ্টা হচ্ছে, আরো পর্যটক সেখানে আটকে আছেন কি না।
প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই এলাকার ধারেকাছে যেন এখন কেউ না যান। কারণ আগ্নেয়গিরি থেকে আরো অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা আছে। হোয়াইট আইল্যান্ড দ্বীপটিকে ঘিরে ‘নো ফ্লাই জোন’ স্থাপন করা হয়েছে। -ডয়চে ভেলে ও বিবিসি