বাসায় বিড়াল পোষায় শ্রেণীকক্ষে ছাত্রীকে হেনস্তা

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২২, ০৪:১৮ পিএম | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৩২ পিএম

বাসায় বিড়াল পোষায় শ্রেণীকক্ষে হয়রানি। ছবি- সংগৃহীত

বাসায় বিড়াল পোষায় শ্রেণীকক্ষে হয়রানি। ছবি- সংগৃহীত

বাসায় বিড়াল পোষায় রাজধানীর বিসিএসআইআর স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীকে শ্রেণীকক্ষে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে একটি উকিল নোটিশ পাঠান।

ওই নোটিশে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ (২০২২) পরীক্ষা নেওয়ার সময় ৩য় গ প্রভাতির শ্রেনীশিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার ও ৬ষ্ঠ খ প্রভাতির শ্রেনীশিক্ষিকা জিন্নাত নাহার প্রতিষ্ঠানের ৩১১ নম্বর রুমের সকল শিক্ষার্থীকে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে মাস্ক খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেন।

এসময় ওই দুই শিক্ষিকা ৬ষ্ঠ শ্রেণী খ প্রভাতি শাখার ছাত্রী খন্দকার আয়েশা শাহরিয়ারকে বাসায় বিড়াল পোষার জন্যে বকাবকি করেন। এছাড়া বিড়াল পোষার টাকা অন্য কাজে ব্যয়ের জন্যে দিতে বলে বিড়ালগুলো ফেলে দিতে বলেন। এই নির্দেশ না মানলে পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুমকি দেন তারা।

এতে আরো বলা হয়, এ ঘটনার সময় ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীরা হাসাহাসি করলেও ওই শিক্ষিকারা কোন ব্যবস্থা নেননি। এসময় ওই শিক্ষার্থী মানসিক কষ্টে কাঁদতে কাঁদতে স্কুল গেট দিয়ে বের হয়ে আসে।

এদিকে এ ঘটনা জানতে পেরে বিসিএসআইআর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ ইদ্রিস আলীর সাথে টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন শিক্ষার্থীর অভিভাবক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, এ ঘটনাটি জানতে গত ৩১ মার্চ দুপুরে আমি ৬ষ্ঠ খ প্রভাতির শ্রেনীশিক্ষিকা জিন্নাত নাহারকে ফোন করলে তিনি অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং বেয়াদব বলে ফোন রেখে দেন। পরে গত ৪ এপ্রিল ওই দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিসিএসআইআর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আফতাব আলী শেখ ও বিসিএসআইআর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ ইদ্রিস আলীকে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ দেই আমি।

তবে এ ঘটনায় এখনো কোন সুরাহা পাননি বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে জানতে বিসিএসআইআর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আফতাব আলী শেখ ও বিসিএসআইআর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ ইদ্রিস আলীকে ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ই জানুয়ারির রিট পিটিশন নং-৫৬৮৪/২০১০ রায়ের প্রেক্ষিতে বিগত ২৫ এপ্রিল ২০১১-তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১১ জারি করে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। ওই নীতি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদেরকে মানসিক ও শারীরিক শাস্তি দেওয়া বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে ফৌজদারি অপরাধ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh