নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৩, ০৯:২৩ এএম | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩, ০৯:২৪ এএম
পরিবারের সঙ্গে এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ফাইল ছবি
কয়েকদিন পরেই মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবারের সঙ্গে এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ব্যস্ততম এ নগর ছেড়ে রেল, নৌ ও সড়কপথে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন নগরবাসী।
আজ শনিবার (২৪ জুন) থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ট্রেন। রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। শনিবার সকাল ৬টার পর আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। এরপর নীলসাগর এক্সপ্রেস ঘরমুখো মানুষকে নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়।
কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। টিকিট ছাড়া কেউ যাতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য স্টেশনে ঢোকার প্রবেশ পথেই বাঁশ দিয়ে বেরিকেড দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকে আলাদাভাবে চেক করা হচ্ছে। যাদের টিকিট আছে, তাদেরকে দেয়া হচ্ছে স্টেশনের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) বলেন, ‘ঈদযাত্রায় টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আমরা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি রেলের নির্দেশনা পালনের। যার টিকিট তাকেই ভ্রমণ করতে হবে।’
১৪ জুন থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ জুন দেয়া হয় ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেয়া হয় ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট দেয়া হয় ১৮ জুন।
২২ জুন থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হয়। সেই হিসেবে ২২ জুন দেয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেয়া হবে ফিরতি ট্রেনের টিকিট।