লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৩, ০১:০৫ পিএম
উজানের ঢলে আবারো তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে আবারো তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। শনিবার সকাল ৯টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সে.মি. নিচ রেকর্ড করা হয়েছে। পানি বেড়েছে ধরলা নদীতেও।
এতে তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট।পানিতে তলিয়ে গেছে বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি খেত। লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার অন্তত ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পার্শ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙ্গন প্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, আবারো পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ঈদের আগে জেলার বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলোতে ৩০০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। খোঁজ রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।