বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

লালমনিরহাট ও নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৭:১১ পিএম | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম

লালমনিরহাটে উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি

উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটে উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জেলার ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকাল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে সকাল ৬ টার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির পরিমাপ কর্মচারী নুরুল ইসলাম বলেন, পানি ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৯টায় ছিল বিপৎসীমার কাছাকাছি। দুপুর গড়ার সাথে সাথে পানি বেড়ে বিকাল ৩টা থেকে বিপদসীমার ১১ ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। নদী পারের মানুষ আবারও তৃতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়েছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুরখুনিয়াগাছ বাগডোরা, আদিতমারী উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি ও হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না গড্ডিমারি এলাকার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, তিস্তার পানি বাড়ার সাথে সাথে কিছু নিচু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। নদী পাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার ভোর থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বাড়তে থাকে। সকাল ৯টায় বিপৎসীমা বরাবর পানি প্রবাহিত হলেও দুপুর ১২ টায় বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান শুক্রবার সকাল ৬টা  তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ১২,সকাল ৯ টায় ৫২ দশমিক ১৫ এবং দুপুর ১২ টায় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি ( বিপদসীমা ৫২ দশমিক ১৫)। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদ দৌলা জানানউজানের ঢলে তিস্তার পানি ভোর থেকে বাড়তে শুরু করে এবং দুপুর ১২টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে। পানি বাড়লেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh