৮৫ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে লাগে কাঠের মই

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪৬ এএম

 পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় মূল সেতুটিই শুধু খালের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ছবি: প্রতিনিধি

পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় মূল সেতুটিই শুধু খালের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ছবি: প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নামেশিপাড়া গ্রামের নিন্দ্র খালের ওপর প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এক বছরে দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ৩ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। নিরুপায় হয়ে কাঠের মই বেয়ে সেতু পার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে নিন্দ্রা খালের উপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ পায় তালতলী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ঠিকাদার মারুপ রায়হান তপু। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গেল ১ বছরেরও সড়ক নির্মাণ কাজ হয়নি। পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় মূল সেতুটিই শুধু খালের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

স্থানীয়রা জানান, এই সেতু পার হয়ে প্রতিদিন লাউপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাওয়া-আসা করে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কাঠের মই বেয়ে উঠতে গিয়ে অনেকে নিচে পড়ে আহত হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ অসুস্থ মানুষ এই মই বেয়ে উঠতে না পারায় তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

স্থানীয় আলেয়া নামের এক বাসিন্দা বলেন, এটা সেতু না যেন মরণফাঁদ। সেতুটি নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই। এজন্য মানুষ পারাপার হতে পারে না। নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসী কাঠের মই দিয়ে চলাচল করে।

ঠিকাদার মারুপ রায়হান তপু বলেন, মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ। এখন সংযোগ সড়কের কাজ বাকি আছে। সেটাও কিছু দিনের মধ্যে শেষ হবে।

এবিষয়ে তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। তবে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিল দেয়া হয়নি। সেতুর কাজ শেষ করলে ঠিকাদারকে বিল দেয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh