সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের লোগো
রাজধানীতে সহিংসতার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ১০ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। আহত পাঁচ সাংবাদিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা, ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবলিম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ।
আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএফইউজের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে জানান, শনিবার বিএনপির ডাকা সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চালাতে গেলে সেই দৃশ্য ধারণ করেন সাংবাদিকরা। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীরা। তারা হামলে পড়েন সাংবাদিকদের ওপর।
শনিবার বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট শেখ নাসির। রাজারবাগ এলাকায় একুশে টেলিভিশনের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়। এসময় আহত হন একুশে টিভির সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান। নাইটেংগেল মোড়ে ভাঙচুর করা হয় যমুনা টেলিভিশনের একটি গাড়ি।
এদিকে আরামবাগ মোড়ে নটরডেম কলেজের সামনে লাঞ্ছিত হয়েছেন ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস। তিনি জানিয়েছেন, তাকে মারধর করে ক্যামেরা নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পোস্টার ফেস্টুনে রাস্তার মাঝে আগুন দেওয়ার ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালায়। নয়াপল্টন সংলগ্ন নাইটেঙ্গেল মোড়ে আহত হয়েছেন সময় টিভির সাংবাদিক মারুফ।
হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক রাফসানজানি। প্রাণ বাঁচাতে তিনি সেগুনবাগিচার দিকে দৌঁড় দিলে হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এক পর্যায়ে রাফসান রাস্তায় পড়ে যান। এসময় তার মাথা ও সারা শরীরে বেদমভাবে আঘাত করা হয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা যাতে কোন ছাড় না পায় তার জন্য নেতৃবৃন্দ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।