স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯ পিএম
সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান। ফাইল ছবি
গত আইপিএলে বাংলাদেশের তিন প্রতিনিধি ছিলেন সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস এবং মুস্তাফিজুর রহমান। এদের মধ্যে প্রথম দুজন ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। আর মুস্তাফিজুর রহমান খেলেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে।তবে পারফর্ম্যান্সের দিক দিয়ে আলো ছড়াতে পারেননি তারা।
সাকিব তো খেলতেই পারেননি গত আসরে। লিটন এক ম্যাচ সুযোগ পেলেও হাস্যকর ভুলে নিজের জায়গা হারিয়ে ফেলেছিলেন। আর দিল্লির দরবারে মুস্তাফিজুরের অবস্থাও ছিল বেশ নাজুক। দুই ম্যাচে ১১ এর বেশি ইকোনমিকে বল করে দিয়েছিলেন ৭৯ রান। আর উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১টি। দেশের ক্রিকেটে কাটারমাস্টারের কাঁটায় যে কেউ বিঁধছে না সেটারই উদাহরণ হয়ে ছিল গত আইপিএল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবারের বিশ্বকাপের বাজে পারফর্ম্যান্স।
আইপিএলে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে নিয়মিত মুখ ছিলেন সাকিব আল হাসান। এবারের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে যিনি করেছেন মাত্র ১৮৬ রান। গড় ছিল ২৬.৫৭। ৭ ম্যাচে ৩৬ এর বেশি গড়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট। এক ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেও সাকিবের পারফর্ম্যান্স ছিল না সাকিব-সুলভ। ফলাফল কলকাতার তালিকা থেকে বাদ।
বিশ্বকাপে লিটন দাসের উপরেও ছিল বড় রকমের আস্থা। তবে সেখানেও হতাশ করেছেন লিটন। বিশ্বকাপের আগে থেকেই অফফর্মে ছিলেন ড্যাশিং এই ওপেনার। ৯ ইনিংসে ২৮৪ রান করলেও বিশ্বক্রিকেটের অন্যান্য ওপেনারদের তুলনায় একেবারেই সাদামাটা ছিলেন লিটন। আগের আসরের বাজে পারফর্মের সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপের ফর্মহীনতা। লিটনকে তাই আর বিবেচনায় রাখেনি শাহরুখ খানের দল।
মুস্তাফিজুর রহমানের অবস্থা যেন আরও শোচনীয়। অনেকদিন ধরেই তিনি প্রদীপের নিভু আলো। কাটারমাস্টার বা ফিজ এখন শুধুই উপাধি হয়ে সঙ্গী দেয় তাকে। আদতে মুস্তাফিজের অবস্থান বেশ ভালোই নাজুক। এমন পেসারকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দল সাজাতে চায়নি দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি। বাদ পড়তে হয়েছে তাকেও।