জুনায়েদ আহম্মেদ, লক্ষ্মীপুর
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৪ এএম
প্রতীকী ছবি
লক্ষ্মীপুরে গত ৫৩ বছরে প্রায় ১৫২টি ছোট-বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সবশেষ শনিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় তার উৎপত্তি স্থল ছিল লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে। দুর্যোগ মনিটরিং প্রতিষ্ঠান গেন্ডাবাল ডিসেস্টার এলার্ট এন্ড কডিনেশন সিস্টেম এ তথ্য জানিয়েছে। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৫। তবে সৃষ্ট ভূমিকম্পের ফলে কোন ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পের সংবাদ ও তথ্যরেকর্ডকারী জার্মান ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ভলকানোডিসকোভারী ভূমিকম্পটির বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৮ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে এবং এটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীর থেকে উৎপত্তি হয়েছিল।
ভলকানোডিসকোভারী ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলায় অনুভূত ভূমিকম্পের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকা অনুসারে ১৯৭০ থেকে ২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলায় মোট ১৫২টি ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। যার মধ্যে ৬ মাত্রার উপরে ১টি ভূমিকম্প, ৫ থেকে ৫ মাত্রার মধ্যে ১৫টি ভূমিকম্প, ৪ থেকে ৫ মাত্রার মধ্যে ১০৪টি ভূমিকম্প, ৩ থেকে ৪ মাত্রার মধ্যে ৩১টি ভূমিকম্প এবং ১ থেকে ৩ মাত্রার মধ্যে ১টি ভূমিকম্প। ফলে দুর্যোগ প্রবণ জেলা হিসেবে ভূমিকম্পের নতুন ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে যুক্ত হলো লক্ষ্মীপুর।
২ ডিসেম্বর ভূমিকম্পটির জিও লোকেশন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভূমিকম্পটি সৃষ্টি হয়েছে রামগঞ্জের দল্টবাজারের পশ্চিমে পানিওয়ালা-দল্টা-চাটখিল সড়কের দক্ষিণ পাশে উদ্দিপন অফিসের দক্ষিণে একটি জলাশয় বরাবর।
ইউএসজিএসের তথ্য মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ঢাকা শহর ৮৪ কিমি, কুমিল্লা শহর ৪১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম শহর ১২৮ কিমি দূরে অবস্থিত।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, শনিবারের ভূমিকম্পে জেলায় তেমন কোনো ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।