নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ১০:৩৫ এএম | আপডেট: ২২ মে ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফাইল
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বানী দিয়েছেন। বাণীতে তারা, বুদ্ধের অহিংসতার আদর্শ সমাজে ও রাষ্ট্রে মানুষের ভেতর ভ্রাত্বতৃবোধ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, একটি সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘অহিংস পরম ধর্ম’ বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমভাবে প্রযোজ্য।
আজ বুধবার (২২ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, আজকের এই অশান্ত ও অসহিষ্ণু বিশ্বে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগত হানাহানি রোধসহ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহামতি বুদ্ধের দর্শন ও জীবনাদর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মহামতি গৌতম বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান লাভ ও মহাপরিনির্বাণ এ উৎসবের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করে আসছে, যা আমাদের সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্যের চর্চা ও বুদ্ধের মহান আদর্শকে ধারণ করে বৌদ্ধ সম্প্রদায় দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন এ প্রত্যাশা করি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সব্বে সত্তা সুখীতা হোন্তু’-জগতের সব প্রাণী সুখী হোক, গৌতম বুদ্ধের শাশ্বত এ দর্শন সমাজে শান্তির প্রতিফলন ঘটাবে এই কামনা করি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মহামতি গৌতম বুদ্ধ প্রচার করেছেন অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী। আজ বুধবার (২২ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ লোভ, দ্বেষ, লালসাকে অতিক্রম করে জীবন ও কর্মের মাধ্যমে মানবজগতকে আলোকিত করেছেন। তিনি ছিলেন সত্য ও সুন্দরের আদর্শে উজ্জীবিত।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। সব শ্রেণিপেশা ও সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। আমি আশা করি, গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ ও লালন করে সবাই বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।