স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ফাইল ছবি
চলমান বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আজ সোমবার (১০ জুন) নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা শুরু হবে ম্যাচটি। প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় সুপার এইটের দৌড়ে এগিয়ে যেতে এ ম্যাচেও জয় চাই শান্ত-সাকিবরা। প্রোটিয়াদের লক্ষ্যটাও একই। প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করতে চায় তারা।
কিন্তু পরিসংখ্যান টাইগারদের বিপক্ষে কথা বলছে। পরিসংখ্যানের পাতায় চোখ দিলে অবশ্য বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য আশার কিছু পাওয়া যাবে না। ২০০৭ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ। হার দিয়ে শুরু ওই ম্যাচের পর মোট ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও একটিতেও জয় নেয় বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সবচেয়ে কম ১২ রানের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। এরপর সেই ব্যবধানটা কেবলই বেড়েছেই। সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তাই এ ম্যাচে জয় পাওয়া বেশ কঠিনই বলা চলে শান্তর দলের জন্য।
গত শনিবার দলের নিয়মিত প্রেস বিফ্রিংয়ে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, উইকেট যেমনই হোক না কেন, আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি।
শান্ত আরও বলেন, বেশ কিছু দিন যাবতই আমাদের বোলাররা সেরা ফর্মে আছে। বিশ্বের যে কোনো ব্যাটিং লাইন আপকে ধসিয়ে দিতে পারে তারা। আগামী বছরগুলোতেও তারা সেটা ধরে রাখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, ব্যাটিং উদ্বেগ থাকলেও আমি খুব বেশি চিন্তিত নই। সব ব্যাটার এক সাথে জ্বলে উঠবে এমনটা আশা আপনি করতে পারেন না। কিন্তু এটাও সত্য, কাজ করার জায়গা আছে। আমরা আমাদের ব্যাটিং সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।
এছাড়া নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে খেলার অভিজ্ঞতাতেও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপপর্বের প্রথম দুইটি ম্যাচ তারা খেলেছে এই মাঠেই। যেখানে দুইটিতেই জয় পেয়েছে তারা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এই মাঠে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ খেলেনি। তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতের বিপক্ষে এ মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিলো বাংলাদেশের। সেই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। তাই ম্যাচটি বেশ কঠিনই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের জন্য।