ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৫৫ এএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:০৪ পিএম
এই দিনে টুইন টাওয়ারে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। ছবি: গুগল
৯/১১ হামলা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৫৫ এএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:০৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার হামলার আজ বুধবার ১৮ বছর পূর্ণ হলো। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত ১৯ জঙ্গি চারটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করে আত্মঘাতী হামলা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি জায়গায়। এসব আত্মঘাতী হামলায় সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল।
দুটি উড়োজাহাজ আঘাত হেনেছিল নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ারে, একটি পেন্টাগনে আর চতুর্থ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ার শ্যাংকসভিলে।
এরপর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সূচনা করেন। গত ১৮ বছরে আফগানিস্তান ও ইরাকে দুটি যুদ্ধ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যার রেশ এখনো চলছে।
ওই হামলার জন্য আল-কায়েদার সদস্যদের দায়ী করা হয় এবং আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সেনাদের এক গোপন অভিযানে নিহত হন।
নিউইয়র্কে বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের দুটি টাওয়ার যেখানে ছিল সেই শূন্যস্থানে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল দুটি জলাশয়, চারপাশে লেখা আছে নিহতদের নাম।
ছবি: রয়টার্স
কী ঘটেছিল সেদিন? চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
সেদিন ছিল মঙ্গলবার। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৬৭ বিমানটি প্রায় বিশ হাজার গ্যালন জেট ফুয়েল নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারে আঘাত করে। এটি ছিল ১১০ তলা ভবন যার ৮০তম তলায় বিমান আঘাত করে। মুহূর্তের মধ্যে কয়েকশ মানুষ মারা যায়।
এর ১৮ মিনিট পরে দ্বিতীয় বিমানটি হামলা চালানো হয়। ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ফ্লাইট ১৭৫-এর আরেকটি বোয়িং-৭৬৭ উড়োজাহাজ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ দিকের টাওয়ারের ৬০তম তলায় আঘাত হানে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টুইন টাওয়ারের উত্তর দিকের ভবনটি ভেঙে পড়ে।
তৃতীয় হামলাটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগনে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে পেন্টাগনের পশ্চিম দিকে আঘাত করে আমেরিকান এয়ারলাইনস ফ্লাইট ৭৭-এর বোয়িং-৭৫৭ উড়োজাহাজটি। পেন্টাগনে হামলায় ১২৫ জন সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। জিম্মি করা বিমানটির ভেতরে থাকা ৬৪ জনও নিহত হন।
এরপর সকাল ১০টা ১০ মিনিটে চতুর্থ বিমান হামলাটি হয়। নিউজার্সি থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করার ৪০ মিনিট পর ইউনাইটেড ফ্লাইট ৯৩ নামের উড়োজাহাজটি ছিনতাই করা হয়। বিমানে থাকা অবস্থাতেই যাত্রীরা নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে হামলার বিষয়ে জেনে যান। পরে পশ্চিম পেনসিলভানিয়ার শ্যাংকসভিলের কাছে একটি ফাঁকা মাঠে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হলে বিমানে থাকা ৪৪ জনের সবাই নিহত হন।
৯/১১ হামলার জন্য অভিযুক্তদের অনেকেই এখনও জীবিত রয়েছেন। ওই হামলার সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো, অভিযুক্তদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
৯/১১’র হামলায় ১৯ জন হামলাকারীসহ মোট ২ হাজার ৯৯৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে শুধু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চালানো দুটি বিমান হামলায় মারা যান ২ হাজার ৭৬৩ জন। আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে ৩৪৩ জন দমকলকর্মী ও ৬০ জন পুলিশ সদস্যও নিহত হন। চারটি হামলায় সম্মিলিতভাবে ৭৮টি দেশের মানুষ নিহত হন।- বিবিসি ও ইন্টারন্টে অবলম্বনে
ABOUT CONTACT ARCHIVE TERMS POLICY ADVERTISEMENT
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ | প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
প্রধান সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ
প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী
অনলাইন সম্পাদক: আরশাদ সিদ্দিকী | ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
© 2021 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh