শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ দরকার: অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক সম্প্রতি ‘আহমদ শরীফ অধ্যাপক’ পদে অলঙ্কারিত হয়েছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের সামাজিক অগ্রগতি, শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা, করোনাকালীন শিক্ষাসংক্রান্ত সরকারের পদক্ষেপসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। 

সাম্প্রতিক দেশকালের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অনিন্দ্য আরিফ-

বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী পালনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।  এই সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যমান সমাজব্যবস্থাকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের আয়োজন করছে সরকার ও সরকারি দল আওয়ামী লীগ। এছাড়া কোনো কোনো দল ও বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী। সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানদির মধ্য দিয়ে যদি সবার মধ্যে আত্মজিজ্ঞাসা, আত্মসমালোচনা, আত্মশুদ্ধি ও প্রগতির চেতনা জাগ্রত হয়, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলতর হবে। সমাজব্যবস্থা না বলে রাষ্ট্রব্যবস্থা বলা ভালো। রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল, জাতীয় ঐক্যের বোধ (বহুত্বমূলক ঐক্য কিংবা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য), সরকার ইত্যাদি নিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থা। ঐক্যের বিবেচনা বাদ দিয়ে যেভাবে বহুত্ববাদ প্রচার করা হচ্ছে, তাতে জাতি ও রাষ্ট্র দুর্বল অবস্থায় থাকছে। জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ, শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি, জাতীয় সংস্কৃতি বা সভ্যতা- কোনোটাই সুস্থ, স্বাভাবিক রূপ লাভ করছে না। সবচেয়ে দুর্গত রূপ নিয়ে আছে রাজনীতি। রাজনীতি, রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণ সুস্থ, স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে জনসাধারণের মধ্যে এর প্রভাব পড়ে। এসব ব্যাপারে সচেতনতার নিদারুণ অভাব আছে সব দলে, প্রতিষ্ঠানে, সংগঠনে ও জনজীবনে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ও শ্রমশক্তির কল্যাণে-বিশেষ করে জীবপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের উৎপাদন ও বৈষয়িক সম্পদ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পাচ্ছে। রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থাকে উন্নতির ও কল্যাণের পথে উত্তীর্ণ করতে পারলে, সব রাষ্ট্রের জনগণ নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনযাত্রার স্থান লাভ করতে পারত। সুযোগ আছে; সুযোগের সদ্ব্যবহারের জন্য উন্নত নৈতিক চেতনা, উন্নত আর্থ-সামাজিক-রাষ্ট্রিক ও সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টা দরকার। উন্নত চরিত্রের-আদর্শের রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব দরকার। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির কল্যাণে ১৯৮০-এর দশক থেকেই দুনিয়াব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নতির যে জোয়ার চলছে, তার প্রবাহ বাংলাদেশেও চলছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা গত চল্লিশ বছরের মধ্যে ক্রমে অনেক উন্নত হয়েছে এবং উন্নয়নের ধারা বহমান আছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে বাংলাদেশের অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ার এবং ব্যাংকের অর্থ লুটপাটের সংবাদ প্রচারমাধ্যমে সূত্রে জানা যাচ্ছে, এ ধরনের নেতিবাচক প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারলে, দুর্নীতি কিছুটা কমাতে পরলে, ধনতান্ত্রিক মানসিকতা কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারলে এবং সার্বজনীন কল্যাণে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হলে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করতে পারবে।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা ছিল তখনকার বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন করা।  এই পঞ্চাশ বছরে আমাদের দেশে নানা ধরনের বৈষম্য কতটুকু নিরসন করা গেছে বলে মনে করেন?

বৈষম্য দূর করার জন্য প্রকৃতপক্ষে কিছুই করা হয়নি। সব ক্ষেত্রেই অসাম্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকৃতি সৃষ্ট বৈষম্য দূর করা সরকারের কাজ নয়। রাষ্ট্রের আইন-কানুন ও বিধিব্যবস্থার মাধ্যমে যে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে, তার অবসান ঘটানো অবশ্যই সম্ভব। এর জন্য জনসাধারণের মধ্যেও সচেতনতা সৃষ্টি হওয়া দরকার। 

একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে বলে মনে করছেন?

শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। মেয়েরা আগের তুলনায় অনেক বেশি-সংখ্যায় সব পর্যায়ের শিক্ষা লাভ করছে। ছাত্র-ছাত্রী অনেকেই পরীক্ষায় ফল ভালো করছে। রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থা জ্ঞানমুখী নয়, বরং পরীক্ষামুখী। ব্রিটিশ আমলে ও পাকিস্তান আমলে শিক্ষা ছিল জ্ঞানমুখী। ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়া, জমিদারি ব্যবস্থা বিলোপ করা, পাকিস্তান ত্যাগ করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদির পেছনে তৎকালীন শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা সহায়ক ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে কুদরতে খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট কার্যকর করা হয়নি। নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা যে রূপে আছে, তাতে বাংলাদেশকে স্বাধীন উন্নতিশীল রাষ্ট্র রূপে গড়ে তোলার কোনো লক্ষ্য নেই। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচি, পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তক লক্ষ্য করলেই এটি বোঝা যায়। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগরসহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নতিশীল স্বাধীন রাষ্ট্র রূপে গড়ে তোলার কোনো লক্ষ্য কি খুঁজে পাওয়া যায়? পরীক্ষার ফল যারা খুব ভালো করে, তারা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রে গিয়ে নাগরিকত্ব লাভ করার জন্য উদগ্রীব হয়। বাংলাদেশে ব্রিটিশ সরকার ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা নিয়ে ইংরেজি মাধ্যমে এ-লেভেল, ও-লেভেল চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ইংরেজি ভার্সন চালাতে আরম্ভ করেছে। বাংলা মাধ্যম আছে, তবে অবহেলিত, মাদ্রাসা শিক্ষা একাধিক ধারায় চলছে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে চলছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থা নানা শাখায় বিভক্ত। পাঠ্যসূচি, পাঠক্রম, পাঠ্যপুস্তক ও পরীক্ষাপদ্ধতি অত্যন্ত খারাপ রূপ নিয়ে আছে। রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক কিছু আছে, যেগুলো কা-জ্ঞানেরও পরিপন্থী। শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে এসব নিয়ে সচেতনতা অল্পই আছে। এই শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠছে না।  

আপনি বারবার শিক্ষানীতি এবং শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে আসছেন।  কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

জাতীয়তাবাদ ও তার সম্পূরক আন্তর্জাতিকতাবাদ অবলম্বন করে বাংলাদেশকে একটি শক্তিমান রাষ্ট্র রূপে গড়ে তোলার লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা রূপে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাংলা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা- এই কথা সংবিধানে লেখা থাকলেও বাস্তবে চলছে অন্য নীতি নিয়ে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যসূচি, পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করে উন্নত করতে হবে। উচ্চ শিক্ষার নীতি আধুনিক করতে হবে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির এই উন্নত অবস্থার মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য কর্মমুখী রূপ দিতে হবে। পাশাপাশি, বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর পেশামূলক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আধুনিক শিক্ষানীতি নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব। ইংরেজ কিংবা আমেরিকানদের সাম্রাজ্যবাদী নীতি অনুযায়ী শিক্ষাকে পরিচালনা করা চলবে না। গ্রেকো- রোমান-ইউরো-আমেরিকানদের প্রগতিশীল বিষয়গুলোকে আমরা দেশোপযোগী করে গ্রহণ করতে পারি। তাদের সাম্রাজ্যবাদী কর্মনীতি বুঝতে হবে এবং তা পরিহার করতে হবে। 

আপনি শিক্ষার জাতীয়করণের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। এই জাতীয়করণের ফলে কী ধরনের মৌলিক পরিবর্তন ঘটতে পারে?

অবশ্যই শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ দরকার; কিন্তু জাতীয়করণ কেবল আর্থিক দিক দিয়ে এবং কাঠামোগত দিক দিয়ে হলে সুফল অল্পই হবে। বিশ বছরব্যাপী একটি পরিকল্পনা নিয়ে পাঠ্যসূচি, পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তক উন্নত করতে হবে। কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্র অনেক প্রসারিত করতে হবে। শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। সবার মনে জাতীয়তাবোধ ও উন্নত রাষ্ট্র গঠনের মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। ন্যায়-অন্যায়ের বোধ প্রখর করতে হবে। 

করোনাকালে শিক্ষার নানা উদ্যোগকে কীভাবে দেখছেন? বিশেষ করে অটোপাস এবং অনলাইন শিক্ষার পদক্ষেপ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

করোনাকালে অবস্থার চাপে সব ক্ষেত্রেই সাময়িক নানা ব্যবস্থা সরকারকে করতে হচ্ছে। অবস্থার পরিবর্তন হলে সাময়িক ব্যবস্থা থাকবে না। অটোপাস কথাটা না বলাই ভালো। করোনার ফলে সব রাষ্ট্র এবং দুনিয়াব্যাপী সর্বত্রই সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। মানবজাতি এবং আমাদের জাতিও অবশ্যই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। ভবিষ্যতে ভালো কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে- তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। অনলাইন কার্যক্রম অস্বাভাবিক অবস্থার জন্যই সামনে এসেছে। এর সুযোগ স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীরাই নিতে পারছে। অবস্থা স্বাভাবিক হবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

দেশের উচ্চ শিক্ষার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

উচ্চ শিক্ষার অবস্থা সন্তোষজনক নয়। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের নীতি ও ব্যবস্থা যেখানে ঠিক নেই, সেখানে উচ্চ শিক্ষা ভালো হবে কী করে! ভিত্তি ঠিক না করে উঁচু দালান তোলা যায়? উচ্চশিক্ষা যে অবস্থায় আছে, তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথার্থ জ্ঞানানুরাগ, স্বাজাত্যবোধ, বাংলাদেশকে শক্তিমান রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলা- এসব সম্পর্কে কোনো সদর্থক স্পিরিট শিক্ষার্থীরা লাভ করে না। কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য- সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। এমফিল, পিএইচডি- সেগুলোর অবস্থাও একইরকম। ইউরো-আমেরিকান ব্যবস্থার সা¤্রাজ্যবাদী নীতির অন্ধ অনুসরণ চলছে। সক্ষম শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি ও অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রবল আগ্রহ বোধ করেন। প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যা, কৃষিবিদ্যা ইত্যাদি সম্পর্কেও একই কথা বলতে হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যেও বাংলাদেশের প্রতি একই রকম বিমুখতা লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের অবস্থা বর্তমানে ভালো না হলেও ভবিষ্যতে ভালো হবে- এমন আশা উচ্চ শিক্ষার কোনো ধারাতেই খুব পাওয়া যায় না। ১৯৭০-এর দশকে এবং ১৯৮০ এর দশকে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে আগ্রহ এবং প্রচেষ্টা দেখা যেত ১৯৯০-এর দশক থেকে সে আগ্রহ স্তিমিত হতে থাকে। বর্তমানে বাংলা ছেড়ে ইংরেজির দিকে চলে যাওয়ার মানসিকতাই বিশেষভাবে সামনে আসে। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে, বিচার-বিবেচনা করে, নতুন নীতি ও ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও রাজনীতির উন্নতি দরকার। রাষ্ট্রব্যবস্থাকে উন্নত করে বাংলাদেশকে জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রূপে গড়ে তোলার চিন্তা ও চেষ্টা দরকার। সম্ভাবনা আছে। সম্ভাবনার বাস্তবায়ন দরকার। দরকার নতুন রেনেসাঁ ও নতুন গণজাগরণ।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //