‘নিজেদের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টই তো সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না, মানছে না এবং বাস্তবায়ন করছে না’

অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান। কথা বলেছেন করোনাকালে শিক্ষা খাতের সংকট ও উত্তরণের উপায় নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খন্দকার মুনতাসীর মামুন

করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অবরুদ্ধ শিক্ষাজীবন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, তা এখনো অনিশ্চিত। এ অবস্থায় কী করা উচিত বলে মনে করেন?

সবার আগে দেখতে হবে, জনস্বাস্থ্যবিদরা কী বলেন? তারা কী মনে করেন যে, এখনো বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে এবং কোনোভাবেই কাছাকাছি আসার ঝুঁকি নেওয়া যাবে না! করোনা পরিস্থিতি দেখে এটা যদি তারা মনে করেন, তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনভাবে খুলব, এর কার্যক্রম এমনভাবে চালাব, যাতে শিক্ষার্থীদের ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টির অবকাশ না থাকে। সেক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হলো- অনলাইনের মাধ্যমে কোর্স চালানো। অথবা জরুরি পরিস্থিতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে যাদের করোনা নেই, তাদের এনে একটি বড় জায়গায় দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাসের ব্যবস্থা করা। দুটি পথই আমাদের খোলা রাখতে হবে। শারীরিক উপস্থিতির পথ যেমন খোলা রাখতে হবে,  তেমনি অনলাইনও রাখতে হবে। অনলাইন রাখতে হবে, যখন আমরা পরীক্ষা করতে পারছি না। অর্থাৎ যখন আমরা বুঝতে পারছি না যে, কার করোনা আছে, কার নেই। যখন আমরা মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব এবং হাত ধোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারব না, তখনই আমাদের অনলাইনে চলে যেতে হবে। আর যখন এগুলো করতে পারব, যে মাত্রায় পারি, সে মাত্রায় শিক্ষার্থীদের এনে আমরা ক্লাস খোলার ব্যবস্থা করতে পারি। অর্থাৎ দুটি পথেই আমাদের আরও কিছুদিন চালাতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, পরিস্থিতিটা হচ্ছে VUCA, V-তে হলো volatile মানে অস্থির, U-তে uncertain মানে অনিশ্চিত, C-তে complex মানে জটিল এবং A-তে হচ্ছে ambiguous, মানে অস্পষ্ট। অর্থাৎ আমরা একটি অস্থির, অনিশ্চিত, জটিল ও অস্পষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এটা মনে রেখে এবং সব পথ খোলা রেখে আমাদের এগোতে হবে। কখনো আমাদের একটি অপশনে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, অন্য একটি অপশনে কম গুরুত্ব দিলেও চলবে। যেমন- এখন কমপ্লিট লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় অনলাইন ক্লাসও হয়তো নেওয়া যাবে না; কিন্তু যখন কমপ্লিট লকডাউন ছিল না, মানুষ যখন ইউনিয়ন কাউন্সিলের আইসিটি সেন্টারে যেতে পারতেন, সেখানে যদি আমরা মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারতাম, তাহলে যাদের কম্পিউটার নেই, তারা আসতে পারতেন। এখন তো শোনা যাচ্ছে, আমাদের ১৬ কোটি লোকের কাছে মোবাইল পৌঁছে গেছে। তার মানে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে কম-বেশি মোবাইল আছে। সুতরাং আমরা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে অনলাইনের কাজগুলো করতে পারি। ক্লাস নেওয়া, এসাইনমেন্ট এবং পরীক্ষা দেওয়া-নেওয়া। এই তিনটি কাজ আমরা করতে পারি। হয়তো প্র্যাকটিকেলটা আমরা করতে পারব না। সুতরাং করোনাকালে এই সম্ভাবনাগুলো খুঁজে নিয়ে একটি মিশ্র ব্যবস্থাপনায় চলতে হবে। এটা শুধু সরকারের দায়িত্ব না, এটা প্রতিষ্ঠানগুলোরও দায়িত্ব। শিক্ষক ও ছাত্রেরও দায়িত্ব।

করোনাকালে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে চলে গেছে দীর্ঘসময়। এ ক্ষতি পূরণ কীভাবে হবে?

প্রায় এক বছরের বেশি সময় চলে গেছে করোনায়। জরুরি পরিস্থিতিতে এক বছরের ক্ষতিপূরণ অতিক্রম করা অসম্ভব না। যেমন মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় নয় মাস ক্লাস হয়নি, শিক্ষার ক্ষতি হয়েছে; কিন্তু পরে সেটা কাটিয়ে ওঠা গেছে। এখনো সেটা সম্ভব। এর আগে আমি যে অনলাইন পদ্ধতির কথা বলেছি, সেটি গ্রহণ করা হলে, এত ক্ষতি হতো না। এখন আমরা শর্ট সিলেবাসে ১২ মাসের কাজ নয় মাসে করতে পারি। আর আমরা যদি ধরে নেই যে, আরও এক বছর পরিস্থিতি এরকমই থাকবে, তাহলে দ্রুত অনলাইন সিস্টেমটা প্রতিষ্ঠা করা উচিত। যাদের স্মার্ট ফোনও নেই, তাদের এটার সেবা দেওয়া দরকার। যাদের ডাটা কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের তা বিনামূল্যে প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা দরকার। যেখানে ইন্টারনেট কানেকশন নেই, সেখানে তা পৌঁছে দেওয়া দরকার। তাহলে আর ক্ষতি হবে না। ছাত্ররাও কাজের মধ্যে থাকবে। তাদের মধ্যে যে মানসিক বৈকল্য দেখা দিয়েছে, সেটি দূর হবে। অলস মস্তিষ্ক ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ আর পাবে না। 

করোনা বিপর্যয় থেকে শিক্ষা ব্যবস্থার পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চালাতে যে বরাদ্দের প্রয়োজন ছিল, তার কোনো নির্দেশনা এবারের বাজেটে ছিল কী?

আপেক্ষিক গুরুত্ব বিবেচনায় আমাদের শিক্ষা বাজেট জিডিপির অনুপাতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। দ্বিতীয়ত, শিক্ষায় যা বরাদ্দ থাকে, সেটা ব্যয় করার ‘কোয়ালিটি ও কোয়ান্টিটি’ দুর্বল। কখনোই এর পুরোটা ব্যয় করা হয় না। যেটুকু ব্যয় করে, সেটাও শেষ সময়ে। অর্থাৎ তাড়াহুড়া করে। ফলে কাজের মান খারাপ হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যয়ের ‘এলোকেশন’ নিয়েও প্রশ্ন আছে। কোথায় বেশি গুরুত্ব আর কোথায় কম গুরুত্ব দেওয়া উচিত তার কোনো নজরদারি নেই। যেমন- এখন করোনা পরিস্থিতিতে একটি বড় ব্যয় হওয়া উচিত অনলাইন সিস্টেমটাকে দাঁড় করানোর জন্য; কিন্তু তার জন্য তো সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সমন্বিত জাতীয় পরিকল্পনা লাগবে, জনবল লাগবে এবং সেই ব্যয়টিকে গুণ-মান অক্ষুণ্ণ রেখে কার্যকর করতে হবে। 

দোয়েল কম্পিউটারের কথা একবার শুনলাম! কতদিন আগে প্রজেক্টটা নেওয়া হয়েছিল! অথচ তার কোনো খবরই নেই। আমরা জানিই না পরে কী হলো? অর্থাৎ বাজেট করা কোনো কঠিন বিষয় নয়। আমরা প্রায়োরিটি জানি। চাহিদাও জানি। সেগুলো আমরা নির্ণয় করে দিতে পারব; কিন্তু নির্ণয় করে দিলেও বাস্তবায়নের যে চ্যালেঞ্জ সেটাই তো মূল। সেখানেই তো কাজ হয় না। 

দেশে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। হাজার হাজার শিক্ষক পড়াচ্ছেন। করোনাকালে এসব শিক্ষক যেমন মানবেতর জীবনযাপন করছেন, তেমনি শিক্ষার্থীরাও পাঠ থেকে বঞ্চিত। এদের রক্ষায় বাজেটে কী কোনো রূপরেখা ছিল?

এটা প্রথম থেকেই আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ প্রথমে তৈরি করল তার পুরো ডিজাইনটাই হলো বড়লোক থেকে ধীরে ধীরে নিচের দিকে যাওয়া। গরিব পর্যন্ত যেতে যেতে সব শেষ! প্রথমে দেওয়া হয়েছে বৃহৎ পুঁজিপতিদের। ত্রিশ হাজার কোটি টাকা। এরপর পেয়েছেন গার্মেন্টস সেক্টরের মালিকরা। অবশ্য ওখানে একটি শর্ত ছিল যে, প্রণোদনার অর্থ ওয়ার্কিং ক্যাপিটেল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। সরাসরি এটা গার্মেন্টস শ্রমিকদের তহবিলে জমা দিতে হবে ‘ওয়েজ’ হিসেবে; কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, অর্ধেক ওয়েজ দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ৮ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। করোনার মধ্যে একবার শ্রমিকদের গ্রামে পাঠানো হয়েছে। আবার তাদের গ্রাম থেকে আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার দায়িত্ব নেয়নি, ঠিকমতো রেগুলেট করেনি। 

প্রণোদনার তৃতীয় ধাপে টাকা পেয়েছে এসএমই খাত। সেখানে ব্যাংকগুলোর অনাগ্রহ ছিল। তারা বলেছে, আমরা সুদের ক্ষেত্রে সরকার পুষিয়ে দিলে ভর্তুকি দিতে পারি। ১২ শতাংশের জায়গায় ৬ বা ৭ শতাংশ সুদে ধার দিতে পারি; কিন্তু ‘লোন’ যদি ওরা শোধ করতে না পারে, সে বোঝা আমরা নেব কেন? অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার কারণেই মধ্যম শ্রেণি ঋণ পাচ্ছে না। 

প্রণোদনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিচে ছিল নগদ বণ্টন। সেটা অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য; কিন্তু করোনায় দারিদ্র্যের হার তো বেড়েছে। এখন এই হার ৪০ শতাংশ। আমরা যদি এদের অর্ধেককেও চরম দরিদ্র ধরি, তাহলে এই ২০ শতাংশ বা তিন কোটি মানুষকে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া কোনো বিষয়ই ছিল না। সেক্ষেত্রে ওরা তিন মাস ধরে দশ হাজার টাকা পেত। কর্মহীন শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও আমরা তেমনভাবেই আপদকালীন নগদ সহায়তা দিতে পারতাম। অথবা নিদেনপক্ষে খাদ্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারতাম। এগুলোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের ছিল না। আমি আগেই বলেছি যে, সরকারের নীতি হলো, ওপরের দিকে টাকা ঢালা হবে, সেখান থেকেই পরোক্ষভাবে নিচে যতটুকু যায়, যাবে। যেটাকে আমরা বলি, ট্রিকল ডাউন অর্থনীতি। এটাই সরকারের উন্নয়ন দর্শন। সুতরাং সেখানে হতদরিদ্ররা সামান্যই পেয়েছে। শিক্ষকরা হয়তো পায়ইনি। যে শিক্ষকরা কর্মহীন, বেতনহীন তাদের জন্য আলাদা তালিকা করে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া উচিত ছিল। সামাজিক সুরক্ষা তহবিলেই একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা যেত।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত সরকার এসেছে, তারা এক বা একাধিক শিক্ষা কমিশন গঠন করেছে; কিন্তু সেই কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আগেই সরকার বিদায় নিয়েছে। সেদিক থেকে বর্তমান সরকার ভাগ্যবান। ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণার পর তারা ১০ বছরের বেশি সময় পেয়েছে। এই ১০ বছরে তাদের অগ্রগতি কতটুকু?

শুধু শিক্ষা কমিশনের ২০১০ সালের রিপোর্টটি একবার খুলুন। দেখবেন, সেখানে বলা আছে, বরাদ্দ আপেক্ষিক। প্রতি বছর এক শতাংশ করে বাড়ানো হবে; কিন্তু এসব বিষয়ে কারও খেয়াল নেই। নিজেদের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টই তো সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। মানছে না। বাস্তবায়ন করছে না।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। বিষয়টি কীভাবে দেখেন? 

আমার কথা হলো, education is a right not a privilege। যেহেতু শিক্ষা একটি অধিকার সুতরাং টাকার কারণে কেউ শিক্ষা পাবে না, সেটা হতে পারে না। শুধু প্রাইভেট নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আমি বেতন কমানোর পক্ষে। শিক্ষাকে যথাসম্ভব সুলভ করতে হবে, কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে যেমনটি আছে। আমাদের সংবিধানও বলছে, যার কোনো পয়সা নেই, সেও যাতে শিক্ষার সুযোগ পায়। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা হচ্ছে না। বেতন আস্তে আস্তে আকাশচুম্বী হচ্ছে। তার মানে মধ্যবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্তরাও এখন বিপদে পড়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যয় সংকুলান করতে পারছেন না।

শিক্ষার প্রতি সর্বস্তরের আগ্রহ বেড়েছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সময়ের চাহিদা পূরণ করতে পারছে কি?

না। আমাদের শিক্ষার সঙ্গে জীবনের সম্পর্ক নেই। আমাদের কোন কোন বিষয় শিখতে হবে, কোন কোন জিনিসের বাস্তব চাহিদা আছে, সেটার সঙ্গে আমাদের শিক্ষার কোনো মিল নেই। আমাদের মূল্যবোধ কী? সংস্কৃতি কী? আমরা তো নির্দিষ্ট মাটি থেকে উঠে এসেছি। সেই মাটির মহৎ যে প্রয়োজন, মূল্যবোধ, সে অনুযায়ী আমাদের সিলেবাসও না, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও না। যদি সেই প্রয়োজনটাই দেখা হতো, তাহলে অষ্টম শ্রেণির পর সবাই কেরানি হওয়ার জন্য নবম, দশম, একাদশ পড়ত না। অষ্টম শ্রেণির পর কেউ টেক্সটাইল পড়ত, কেউ কৃষি পড়ত, কেউ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে পড়ত; কিন্তু সেভাবে তো আমাদের সুযোগ এবং প্রতিষ্ঠান দাঁড়ায়নি। এ ক্ষেত্রে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে বড় ধরনের অমিল রয়েছে। পাঠক্রমে ধর্ম শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাঙালি সমন্বয়বাদী ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির বদলে রয়েছে সাম্প্রদায়িক বিভক্তির বার্তা-রয়েছে জেন্ডার বৈষম্যের পক্ষে বার্তা। 

করোনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার প্রতি নজর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি কী আপনার চোখে পড়েছে?

কিছু অগ্রগতি তো আছে। মোবাইল টেকনোলজির মাধ্যমে কমিউনিকেশন। স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন। ব্রডব্যান্ড। ইউনিয়ন কাউন্সিলগুলোতে আধুনিক অবকাঠামো। টিভিতে লেকচার চালু। এগুলো তো হয়েছে। তবে টেকনোলজি দু’ভাবেই কাজ করে। এটা যেমন গরিবকে টাকা পৌঁছে দেয়, তেমনি বিদেশে টাকা পাচারেও ব্যবহৃত হয়। সুতরাং টেকনোলজি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত হচ্ছে, কত বেশি লোক তা ভালোভাবে ব্যবহার করছে, তার ওপরই নির্ভর করবে সবকিছু।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //