‘বাঁধগুলো সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থার ব্যর্থতার কারণে ভাঙছে’

পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। এর আগে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পানিসম্পদ প্রকৌশল বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন দেশের বন্যা পরিস্থিতি, বন্যার নানা দিক এবং এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খন্দকার মুনতাসীর মামুন।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ও বন্যা একই সঙ্গে আঘাত হেনেছে। গত বছরও এমন হয়েছে। দুটিকে একইসঙ্গে মোকাবেলার উপায় কী?
ধরুন আপনি ক্লাস এইট পাস করেছেন। পরীক্ষা যখন হয়, তখন ইতিহাস, ভূগোল, অংক সবই থাকে। তাই না? এখন আমি যদি সারাদিন অংক করি আর ভূগোল না পড়ি। দুটি তো আলাদা পরীক্ষা। হবে একদিন পর পর। আমাকে কি কেউ বলেছে যে, অংক এবং ভূগোল পরীক্ষার আগে অনেক দিন গ্যাপ থাকবে? তা তো বলেনি। অর্থাৎ কোভিড বন্যার সময় আসতে পারবে না এ কথা তো কেউ বলেনি। কোভিড একটি সমস্যা। বন্যা আরেকটি সমস্যা। এই দুটি সমস্যা আপনাকে আলাদা আলাদাভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এই দুটি সমস্যার মধ্যে যদি কোনো যোগসূত্র থাকে, তাহলে সেটিও বিবেচনা করতে হবে। বন্যা হওয়ায় যেসব অঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে, সেখানে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে থাকবে। সেটা তো কোভিডের জন্য ভালো। তা না হলে তো তারা হাট-বাজারে যেত। কোভিডের সমস্যা হচ্ছে, আপনাকে মুখে মাস্ক পরতে হবে, আপনি মানুষের সঙ্গে মিশবেন না। ধরুন, আপনি বাজারে গেলেন, সেখানে এক লোকের কোভিড হয়েছে। তার মুখে দুটি মাস্ক পরা, আপনার মুখেও দুটি মাস্ক। তার কারণে কি আপনি সংক্রামিত হবেন? হবেন না। তিনি যদি আপনাকে জড়িয়ে ধরেন, আপনার সঙ্গে হ্যান্ডসেক করেন, তাতে কি আপনি সংক্রামিত হবেন? হবেন না। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার জন্য সে যদি হাঁচি দেয়, সে হাঁচিটা যদি হাতের ওপরে পড়ে, তাহলে তার কফ বা শ্লেষ্মা এলো হাতে। সেই হাত দিয়ে যদি আপনি মুখ মোছেন, কিংবা নাকের ভেতরে আঙুল দেন। তবেই কোভিড হবে। অর্থাৎ কোভিড হওয়াটা সহজ নয়। আমি যদি মানুষের সঙ্গে ছয় ফুট দূরত্ব মেনে চলি। হাঁচি দিলেও যেন কারও গায়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখি, তাহলে কোভিড ছড়াবে না। 

বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গে আসি। বন্যায় যারা দুর্যোগে পড়ছেন, তাদের যদি ঠিকমতো ব্যবস্থা না করা যায়, তাহলে তো তারা বিপদে পড়বেন। আর বন্যারও তো মাত্রা আছে। সব জায়গায় বন্যা সমান ক্ষতিকর না। একই কথা কোভিডের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কোভিডের কোনো ভেরিয়েন্টে আপনি আক্রান্ত হলেন, সেটা ইন্ডিয়ান নাকি পেরুর, নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার, তার ওপর ঝুঁকির বিষয়টি নির্ভর করে। আপনি কোন কারণে মাঠে কাজ করেন, আপনার শরীরে প্রচুর ভিটামিন-ডি আছে, আপনি শ্রমিক মানুষ আপনার আশঙ্কা কম। কড়াইল বস্তিতে ৮০ শতাংশ মানুষের করোনা হয়েছিল; কিন্তু কড়াইল বস্তিতে তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। চিৎকার শোনা গেছে বড় লোকদের এলাকায়। গুলশান, বনানী, ডিওএইচএস- এসব এলাকাতে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর সংখ্যা বেশি। কোভিডের ব্যবস্থাপনা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আমি তো কোভিডের সঙ্গে বন্যার কোনো বিরোধ দেখছি না। সমস্যাটি কাদের? সমস্যা গরিব মানুষের। যার আয় নেই, যে দিন মজুরি করে সংসার চালায়। কোভিডের জন্য বললেন, ঘরে থাকতে। এখন তার এলাকায় হলো বন্যা। তার দুই বিঘা জমি। সেই জমিতে কিছু ফসলও ছিল। সে হয়তো কিছু ঢেঁড়স কিংবা পুঁইশাক লাগিয়েছিল। সেটা যদি পচে যায়, তাহলে এমনিতেই তো তার কাজ নেই শ্রমিক হিসেবে। আর ক্ষেতে যেটুকু সম্পদ ছিল তাও গেল বন্যায়। তাহলে তো দারিদ্র্য বাড়বে। আমাদের অর্থমন্ত্রী তো স্বীকার করেন না যে, কোভিডের কারণে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। বিআইডিএস বলছে, দারিদ্র্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। দরিদ্র মানুষের জন্য যে কোনো দুর্যোগই খারাপ। এরপর দুটি দুর্যোগ একসঙ্গে যদি তাকে আঘাত করে, সেটা তো অনেক বড় বিপদ। 

আমাদের বন্যা অবকাঠামোগুলো ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর? 
যমুনা নদীর চরে এখন পাঁচ থেকে দশ লাখ মানুষ থাকে। চরগুলো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হয়ে উঠেছে। সারিয়াকান্দি, নাগরপুর, সরিষাবাড়ী কিংবা ইসলামপুরে যে চর আছে, সেখানেও মানুষ থাকছে। এই চর তো প্রতি বছর ডুবে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে চরের বাড়ি-ঘরগুলো উঁচু করা হয়েছে। তবু নদীর মাঝখানে যারা বাস করে তাদের বাড়িঘর ডুববেই। এটা ঠেকানোর কোনো পথ নেই। এর ব্যবস্থাপনায় অনেক খরচ। ব্যয়বহুল ব্যাপার। আর যারা নদীর পাড়ে থাকেন, তাদের জন্য পাড় ঘেঁষে বাঁধ তৈরি করা হয়। এটা পানিকে ঠেকাতে পারে। এটা বন্যা ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো। এটা ঠিকমতো ডিজাইন করলে, ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করলে ভাঙার কথা না। আমাদের বন্যা ব্যবস্থাপনার জন্য বাঁধ আছে, সেগুলো সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার কারণে ভাঙছে। ঠিক ব্যর্থতা বলব না। তারা হয়তো মনে মনে চায়, ভাঙুক। ভেঙে পড়ুক। ভাঙলে আরও টাকা খরচ হবে। 

প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশে বন্যার প্রকোপ পরিলক্ষিত হচ্ছে; কিন্তু বন্যার টেকসই ব্যবস্থাপনা কেন গড়ে উঠছে না? 
এখন শ্রাবণ মাস। এখন নদীতে পানি বাড়বে না তো কখন বাড়বে? কাজেই নদীর যে অবস্থা এটা খুবই স্বাভাবিক। আপনার এলাকাতেই আপনি ছোটবেলায় দেখেছেন গ্রাম পানিতে ডুবে যেত। এখনো তাই হচ্ছে। এখন থেকে একশ’ বছর আগে বাংলার লোকসংখ্যা ছিল তিন কোটি। সত্তর বছর আগে লোকসংখ্যা ছিল চার কোটি। এখন থেকে পঞ্চাশ বছর আগে লোকসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। তাহলে লোকসংখ্যা সাড়ে সাত কোটি কিংবা ব্রিটিশ আমলে চার কোটি যখন ছিল, তখন তারা যেখানে বসত করেছে সেগুলো ডুবে যেত। এটা প্লাবনভূমি। প্লাবনভূমিতে পানি তো আসবেই। আপনি যদি গ্রামের পুরনো ঘর-বাড়িগুলো দেখেন, সেখানে দেখবেন, বাড়ির ভিটিটা উঁচু করে করা। মাটি ফেলে উঁচু করে তার ওপরে বাড়ি করা হতো। গ্রামগুলো ছিল উঁচু জমির ওপর। বর্ষার সময় পানি থই থই। গ্রামগুলোকে মনে হতো দ্বীপের মতো। এখন আপনি বাড়ি করছেন প্লাবনভূমিতে। বাড়ি করা হচ্ছে নিচু জমিতে। কাজেই বন্যা তো হবে। ক্ষতিও হবে। ঘর-বাড়িতে পানি উঠবে। 

বাঁধগুলো সঠিকভাবে নির্মিত হলে প্রতি বছর ভেঙে পড়তো না। বাঁধগুলোর একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা আছে। এই উচ্চতার চেয়ে বেশি যদি পানি আসে, তাহলেই বাঁধ ভাঙতে পারে; কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার জানা মতে, বাঁধের উচ্চতার চেয়ে বেশি পানি কোথাও আসেনি। কাজেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যদি বাঁধ ভাঙে সেটা দুঃখজনক। 

প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের দুই রুমের বাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন। এই বাড়িতে আপনি বৃষ্টির দিনে বসে আছেন, হঠাৎ করে ছাদ হুড়মুড় করে ভেঙে গেল। এটা কী শেখ হাসিনার দোষ? যে ইঞ্জিনিয়ার কিংবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্পগুলো তদারকি করেছেন, এটা তো তাদের দায়! বাড়ি তো দরকার। বন্যা ব্যবস্থাপনার জন্য বাঁধ দরকার। এই বাঁধ কিংবা বাড়ি ছাড়া তো আপনি টিকতে পারবেন না। কারণ আমরা যে প্লাবনভূমিতে থাকি, এখানে বন্যা হবেই। পানি উঠবেই। পানির ওঠাটাকে আপনার ঠেকাতে হবে। ঠেকানোর জন্য বাঁধের কোনো বিকল্প নেই। বন্যা তো শুধু বাংলাদেশেই হয় না, উন্নত-অনুন্নত সব দেশে হয়। 

আমাদের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর বন্যা ব্যবস্থাপনার পার্থক্য যদি বলতেন? 
পৃথিবীর অন্য দেশে মাটি দিয়েই বাঁধ বানায়। যাদের অনেক পয়সা আছে এবং যেখানে জমি পাওয়া কষ্টকর সেখানে কংক্রিট দিয়ে দেয়াল বানায়। যেমন- লন্ডন শহর। আমাদের এখানেও আছে। মিটফোর্ড, কেল্লার মোড়- ওই সমস্ত এলাকাতে কংক্রিটের দেয়াল আছে। মাটি দিয়ে বাঁধ বানানো কোনো দোষের কাজ না। আপনি তো ঢাকায় থাকেন। টঙ্গী ব্রিজ থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত কিংবা আশুলিয়া থেকে মিরপুর পর্যন্ত যে রাস্তাটা, এটা কিন্তু বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী বাঁধ। এর যে প্রশস্ততা, যে উচ্চতা সেটা আজ পর্যন্ত ভাঙেনি এবং ভাঙার কোনো কারণ নেই। কাজেই যেখানে বাঁধ ভাঙে, সেখানে বাঁধের নির্মাণ কৌশল, ডিজাইন এবং রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা আছে। 

দেশে বন্যা ব্যবস্থাপনায় নদী খননকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি কি যথার্থ মনে করেন? 
একটি নদী শুধু পানি বহন করে না। পানির সঙ্গে সেডিমেন্টও বহন করে। বর্ষার সময় তার সেডিমেন্ট বহন করার ক্ষমতা থাকে, শুকনো মৌসুমে এই ক্ষমতা থাকে না। কারণ প্রবাহের শক্তি কমে যায়। তখন চর পড়ে। চর পড়া শুরু হলে নদী ক্রমান্বয়ে প্রশস্ত হতে থাকে। টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কাছে কিংবা ভূঞাপুরে যমুনা নদী ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার চওড়া। সেখানে বয়োজ্যেষ্ঠ কেউ থাকলে তিনি বলবেন ব্রিটিশ আমলে এটা তিন বা চার কিলোমিটার চওড়া ছিল। এরপর ১৯৮৭ সালে ওটা ভেঙে ১০ কিলোমিটার হয়ে যায়। যমুনা সেতুর ডিজাইন করার সময় আমরা পেয়েছি তিন কিলোমিটার প্রাকৃতিকভাবে। এর আগের দুইশ’ বছর ধরেই এর প্রশস্ততা ছিল তিন কিলোমিটার। 

ব্রহ্মপুত্রের পানি এবং গঙ্গার পানি এই দুটি মিলে হচ্ছে পদ্মার পানি। মাওয়াতে পদ্মার প্রশস্ততা তিন কিলোমিটার। তাহলে এই নদীগুলো অনাবশ্যকভাবে সেডিমেন্ট পড়ে প্রশস্ত হয়েছে। এই সেডিমেন্টগুলোকে হয় অপসারণ করতে হবে। অথবা নদীর সেডিমেন্ট বহনের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। সেটার জন্য ড্রেজিং করে প্রথমবারের মতো তার সেডিমেন্ট বহনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়াটা ভালো কাজ। 

সিরাজগঞ্জে নদীর গভীরতা বিশ-ত্রিশ ফুটের বেশি না; কিন্তু মাওয়াঘাটে নদীর গভীরতা একশো ফুটের বেশি। কারণ প্রশস্ততা কম। কাজেই নদীগুলোকে নদী শাসনের মাধ্যমে প্রশস্ততা কমিয়ে সেডিমেন্ট বহনের ক্ষমতা না বাড়ালে কেবলমাত্র ড্রেজিং কিছু লোকের পকেট ভারী করবে; কিন্তু কোনো কাজে আসবে না। 

বন্যার ক্ষেত্রে যৌথ নদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব বহন করে? 
যৌথ নদীগুলোর পানি বণ্টন হয় শুধু শুকনো মৌসুমে। শুকনো মৌসুমে তো বন্যার সমস্যা নেই। সে সময় পানি বণ্টন করলে তো তাতে বন্যা কমবে না। আপনি যদি বর্ষা কালের পানি ভাগ করতে পারতেন, তবেই না সেটা কাজে আসত। বর্ষাকালে যত পারে পানি নিয়ে যাক,আমরা খুশি হবো; কিন্তু আমাদের পাশের দেশ সেটা করছে না। আমাদের দুটি সমস্যা। ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল। এই পাঁচ মাস পানি নেই। তখন আমরা পানি বণ্টনের জন্য চিৎকার করি। আর জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর- এই পাঁচ মাস প্রচুর পানি। এটা নিয়ে কথা হয় না।

আগেও কিন্তু আমাদের বন্যা ছিল। ষাটের দশকে বন্যাই ছিল বাংলাদেশের প্রধান শত্রু। আপনি যদি পুরনো খবরের কাগজ খুঁজে পান, ইত্তেফাক আছে এখনো, দেখবেন বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাতে যত দাবি তিনি উত্থাপন করেন তার অন্যতম ছিল বন্যা ব্যবস্থাপনা। কারণ এখন থেকে পঞ্চাশ বছর আগে বর্ষাকালে আমন ধান ছিল আমাদের প্রধান ফসল। আর দ্বিতীয় ফসল ছিল আউশ। বোরো ধান ছিল না। বোরো ধান এসেছে তিয়াত্তর সালে। কাজেই বন্যা ব্যবস্থাপনায় জোর না দিলে দুর্ভিক্ষ হতে পারতো। আমরা চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কথা জানি; কিন্তু ৫৫/৫৬ সালের বন্যার কথা আলোচিত হয় না। সে সময় বড় ধরনের বন্যা হয়েছিল। তখনকার পাকিস্তান সরকার দেশ চালাতে আর সাহস না করে আওয়ামী লীগের হাতে বা সোহরাওয়ার্দীর হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা দিয়ে দেয়। কাজেই অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে যদি বর্ষায় পানি ভাগ করতে পারেন সেটা ভালো; কিন্তু এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের কোনো নড়া-চড়া দেখছি না।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //