মহামারী আমাদের সময়রেখাকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে: শেহান করুনাতিলাকা

এ বছর শ্রীলঙ্কার লেখক শেহান করুনাতিলাকা বুকার পুরস্কার পেয়েছেন ‘দ্য সেভেন মুনস অব মালি আলমেদা’ উপন্যাসের জন্য। চলতি বছর আগস্টে আন্তর্জাতিকভাবে বইটি প্রকাশ করে শর্ট অব বুকস প্রকাশনী। মূলত এটি ২০২১ সালে বের হওয়া তার ‘চায়নাম্যান: দ্য লিজেন্ড অব প্রদিপ ম্যাথিউ’ বইটির ফলো আপ।

ভারতীয় উপমহাদেশে তার ‘চ্যাটস উইথ দ্য ডেড’ উপন্যাসটি ২০২০ সালে প্রকাশ হয়, যা ১৯৮৯ সালে শ্রীলঙ্কায় সংঘটিত প্রেক্ষাপটে নির্মিত একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন কৌতুকময় ভৌতিক গল্প। এখানে ভূত আর মানুষ উভয়ই জাতিগত সংঘাত ও বিদ্রোহের মধ্যে ধরা পড়ে। তারা অপ্রতিরোধ্য সহিংসতা ও গণ্যহত্যার শিকার। 

৬ সেপ্টেম্বর ‘দ্য সেভেন মুনস অব মালি আলমেদা’ বুকার পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় আসে। ১৭ অক্টোবর ঘোষণা করা হয় চলতি বছর বুকারজয়ী উপন্যাস হিসেবে। এই স্বীকৃতি এমন সময় এলো, যখন শ্রীলঙ্কায় একপ্রকার আনন্দ হারিয়ে গেছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছাড়াও আন্তর্জাতিক শিরোনাম হচ্ছে। বিধ্বস্ত অর্থনীতি ও অসংখ্য আর্থসামাজিক রাজনৈতিক উত্থান- পতনে শ্রীলঙ্কার মানুষ চরম দুর্ভোগে ডুবেছে। এরই মধ্যে এই পুরস্কার কিছুটা হলেও খুশি বয়ে এনেছে।

শেহান যখন বুকারের সংক্ষিপ্ত তালিকায়, তখন ফ্রন্টলাইন পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি তার লেখার প্রক্রিয়া ও চিন্তাভাবনা শেয়ার করেন। কীভাবে ‘দ্য সেভেন মুনস অব মালি আলমেদা’ লেখা হয়েছিল সে সম্পর্কে কথা বলেছেন।

শ্রীলঙ্কার চিরস্থায়ী সহিংসতা ও দীর্ঘদিনের কর্মহীনতার বিষয়টি তুলে ধরে লেখা সাহিত্যিকীয় প্রতিবাদ বিষয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি ভাষান্তর করেছেন- মহিউদ্দীন মোহাম্মদ।

‘চ্যাটস উইথ দ্য ডেড’-এর একটি সংশোধিত সংস্করণ ‘দ্য সেভেন মুনস অব মালি আলমেদা’। এই সংস্করণ কীভাবে হয়েছে?

আমি এই বইটি বিভিন্ন সংস্করণে লিখতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছি। ২০১৫ সালে ‘ডেভিল ড্যান্স’ গ্রেটিয়ান পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় এসেছিল। এটি উপমহাদেশে ‘চ্যাটস উইথ দ্য ডেড’ হিসেবে প্রকাশ করা হয়। পরে এটির আন্তর্জাতিক প্রকাশক খুঁজে পেতে সংগ্রাম করতে হয়েছে। তাদের কেউ এটিকে পছন্দ করে বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বেশ রহস্যময় ও বিভ্রান্তিকর। কেউ বলেন, পৌরাণিক কাহিনি ও বৈশ্বিকতায় দুর্বোধ্য।

পশ্চিমা পাঠকদের জন্য কঠিন। অবশেষে শর্ট অব বুকস (প্রকাশনী) এটি গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছিল; কিন্তু তারা এটাও বলে যে, তাদের এটিকে পশ্চিমা পাঠকদের কাছে পরিচিত করতে হবে। চায়নাম্যান সম্পাদনার লক্ষ্য ছিল কেউ যদি কখনো ক্রিকেটের কথা না শুনে থাকে তবে তারা এটি অনুসরণ করতে পারে। এটিতে টুকটাক এমন কিছু আছে, যা আপনাকে ক্রিকেটের মৌলিক বিষয়গুলো জানতে সাহায্য করবে।

সুতরাং এই বইটির সংক্ষিপ্ত বিষয় হলো- যে শ্রীলঙ্কা ও প্রাচ্যপুরাণ সম্পর্কে কিছুই জানে না সে-ও গল্পটি অনুসরণ করে বুঝতে সক্ষম হবে। অবশ্যই, যা ঘটেছিল তা হলো মহামারী আমাদের সময়রেখাকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে। আর আমি এ দুবছর ধরে এটি (বইটি) মেরামত করে শেষ করেছি। আমি বলব- এটি একই বই, তবে এটি দুই বছরে কাঠিন্য থেকে বাইরে আনা গেছে। আগের চেয়ে এটা অনেক বেশি গ্রহণীয় হয়েছে। দুটি ভিন্ন শিরোনামসহ একই বই থাকা কিছুটা বিভ্রান্তিকর, তবে আমি মনে করি শেষ নাটকটি হলো- ‘দ্য সেভেন মুনস অব মালি আলমেইদা’ চূড়ান্ত শিরোনাম ও পাঠ্যযোগ্য হয়েছে।

এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় যা কিছু ঘটছে তার প্রেক্ষাপটে বইটি আকর্ষণীয় কিছু। বইয়ের অনেক অভিজ্ঞান আশির দশকের শেষের দিকের। এটা ফুটিয়ে তুলতে কেমন লেগেছিল আপনার?

১৯৮৯-এর প্রেক্ষাপট বেছে নেওয়ার কারণ- আমি কিছুটা কাপুরুষ ছিলাম। আমি ২০০৯ সাল ও যুদ্ধের সমাপ্তি সম্পর্কে লিখতে চেয়েছিলাম, যেখানে মূল ভিত্তি হবে মৃতরা কথা বলতে পারে; কিন্তু আমি সেখানে যোগ দেওয়ার মতো সাহসী ছিলাম না। ১৯৮৯-এর প্রেক্ষাপট ‘নিরাপদ’ সময় বলে মনে হয়েছিল কারণ সেই সময়ের বেশিরভাগ নায়ক ও বিরোধীরা মারা গিয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম যখন আমি এটি লিখছি তখন যা ঘটছে তার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আশা করছিলাম খারাপ জিনিস প্রাপ্তি নিয়ে কৌতূহল হবে আর সতর্কতামূলক গল্প হিসেবে কাজে দেবে। তবে আমি সমান্তরাল ভাবনাকে কিছুটা কমিয়ে আনতে পছন্দ করি।

আমরা একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছি, আর পরিস্থিতি খুব দ্রুত খারাপ হতে পারে; কিন্তু আমরা সেই যুগে নেই যেখানে মানুষ নিখোঁজ হয় আর সর্বত্র মৃতদেহ পড়ে রয়েছে, এখনো সেই পরিস্থিতি আসেনি। আমরা হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার সেই স্তরের কোত্থাও কাছাকাছিও নেই। যদিও ঘটনাটি যখন ঘটে তখন আমার বয়স ১৪ বছর। আর আমি রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না। আমি আমার বাবা- মা ও আমার আত্মীয়দের মধ্যে ভীতি দেখেছিলাম। মোদ্দাকথা- আমি মনে করি না যে, আমরা ১৯৮৯-এর মধ্যে আছি। আশা করি আমাদের সেই তুলনাটি আর চিন্তা করতে হবে না।

দেশের কর্মহীনতা ও এর সহিংসতা নিয়ে কথা বলা দুটি উপন্যাস লেখার পর আপনি কি এখন দেশের অতীত ও ইতিহাস যেভাবে চলছে তার চেয়ে আরও ভালো ধারণা পোষণ করেন?

আমি ব্যক্তিগতভাবে দেশের প্রতি গভীরবিতৃষ্ণ ছিলাম আর এটি কিছু সময়ের জন্য। আপনাকে মনে রাখতে হবে আমাদের আশার বিষয়টি। আমাদের প্রজন্ম আর আমরা যুদ্ধ, কারফিউ ও বোমা নিয়ে বড় হয়েছি। যদিও আমরা কলম্বোতে আশ্রয় পেয়েছিলাম। চিন্তা করতাম আমরা যদি এই জঘন্য যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারি তবে এই দেশটি অপ্রতিরোধ্য হবে। আর এটি ঘটেছে, আমাদের জীবদ্দশায়। একযুগ পেরিয়ে এসেও আমরা এখনো আমাদের অতীত থেকে কিছু শিখতে পারিনি। সংখ্যালঘু নিপীড়ন, সাংবাদিক অপহরণ ও মাহিন্দা রাজাপাকসে রাষ্ট্রপতি থাকার সময় যা ঘটেছিল তা আমাদের অনেককে হতাশ করে। তারপরও আশার কথা ছিল- আমরা গণতান্ত্রিকভাবে (রাজাপাকসেকে) ভোট দিতে পারি।

তবে অচিরেই দেখা গেল প্রতিটি নেতা ধাক্কা খেয়েছেন। যখন ইস্টার সানডেতে গীর্জায় আক্রমণ হলো, আমি সত্যিই দেশের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে যে নাটক হবে, কারা ঢুকবে ও দেশের কী হবে তা দেখতে পারছিলাম। আপনি যদি উজ্জ্বল দিকটি দেখতে চান, আমি মনে করি না ঔপন্যাসিকরা গল্পের জন্য অভুক্ত থাকবেন। কারণ শ্রীলঙ্কার কর্মহীনতা ও যুক্তিহীনতা তাদের একটি ধ্রুব উৎস হবে; কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে। এ কারণেই আমি পালিয়ে যাই। আমি চাইনি আমারই দেশে বসে এ গল্পগুলো লিখতে। কারণ আমি দেশের সাথে জড়িত থাকতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি না যে, আমরা আমাদের ভুল থেকে শিখি। তবু আশা কিছু একটা লিখি, হয়ত এক প্রজন্ম পর কেউ এটা পড়বে।

আরাগালায়া (লড়াই- এর সিংহলি শব্দ, যা এপ্রিল মাস থেকে সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভকে বোঝায়) শ্রীলঙ্কা সম্পর্কে পূর্ব ধারণাগুলোর কি কিছু পরিবর্তন করেছে? এটা সম্ভবত অতীতের একটা বিরতি, যেখানে মানুষ এত ব্যাপক আকারে একত্রিত হয়েছে।

আমি ৯ জুলাই সেখানে ছিলাম-একটি নিরাপদ দূরত্বে। আমি কোনো কর্মী নই আর আমি সাহসী নই; কিন্তু এর একটি অংশ হয়েও সাহায্য করতে পারিনি, তবে সরে যেতে পেরেছি! যারা সেখানে ছিলেন তারা সবাই জানেন যে, কয়েক দিন ঝড় ছিল; কিন্তু আমি মনে করি না ইতিহাস এসব আন্দোলনের প্রতি সদয়। এমনকি আমরা যাদের স্বপ্ন দেখাই তাদেরও শেষ হয় না। ফরাসি বিপ্লব নেপোলিয়নকে পথ করে দিয়েছিল। আরব বসন্ত মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডকে রাস্তা করে দিয়েছে। যখন আমি এটি দেখি, এটি আমাকে আশাবাদী হতে ভয় পাইয়ে দেয়।

আপাতত আমাদের দাঁতে দাঁত চেপে ধরে থাকতে হবে আর আমাদের যা আছে তা-ই নিয়ে বাঁচতে হবে। আমি জানি না পরবর্তী নির্বাচন কখন হবে বা আমরা তাদের সমর্থন দিতে পারি কিনা। তবে আমি মনে করি পুরো নির্বাচকম-লী একটি দলকে ভোট দেওয়ার পরিবর্তে পরিষ্কার পরিকল্পনা ও নীতিসহ কিছু নতুন বিকল্প দেখতে চায়। আমি শতবর্ষী আন্দোলনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম- তরুণদের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দল, যারা সমস্যাগুলোর সাথে জড়িত ও সমাধানগুলো বুঝতে আহ্বান জানাচ্ছে। বর্তমানে মনে হচ্ছে আমরা অনেকটাই এলোমেলো। আরও লোকের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছি আর দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা নেই। তবে আমি বিস্মিত হব না, যদি আমরা অন্য প্রজন্মের জন্য এভাবে ভিত্তি করি।

রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডা কতটা দক্ষতার সাথে কাজ করে তার কিছুটা বইটিতে সূক্ষ্মভাবে এসেছে। হিংস্র বাহিনী হিসাবে জনাথা ভিমুক্তি পেরামুনা (মার্কসবাদী রাজনৈতিক দল) ও এলটিটিই কীভাবে তৈরি হয়েছিল তার অনুরূপ লাইনে আরাগালায়াকে (জনযুদ্ধ বা জনতার লড়াই) দেখানো হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কি বোঝা যাচ্ছে রাষ্ট্র জিতেছে?

দ্য সেভেন মুন-এর অনেক নয়, খুব সূক্ষ্ম রূপকের মধ্যে একটি হল জুয়াড়ি। সে কোনো দেবতাকে বিশ্বাস করে না; সে শুধু সুযোগে বিশ্বাস করে আর সেই সুযোগে খেলাগুলো খেলে। আমরা সবাই জানি জুয়ার ঘর সবসময় জেতে। জুয়াড়ি তবু উঠে আসে আবার জুয়ার ঘরে টাকা রেখে দেয়, আর আশা করে যে আজ রাতে জিতবে। ব্যাপারটি অনুরূপ সমান্তরালে আছে। রাষ্ট্র সবসময় জিতবে; কিন্তু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কারণ আমরা যা অর্জন করেছি তা অসাধারণ।

আরাগালায়ের অশরীরীকরণের সাথে সাথে আমাদের শ্রেণি বিভাজনও খুব স্পষ্টভাবে আসছে। দ্য সেভেন মুন-এ মালি চরিত্রের সূচনাবিন্দু ছিল রিচার্ড ডি জোয়সা। তার মৃত্যুর কথা এখনো বলা হয় কারণ তিনি আমাদেরই একজন ছিলেন। গ্রামে মারা যাওয়া ছেলেদের থেকে ভিন্ন, জাফনার (শ্রীলঙ্কার জনবহুল একটি শহর) সন্তান; কিন্তু হঠাৎ রাষ্ট্র আমাদের না হয়ে অন্য একজনের পক্ষে কথা বলে। আমি মনে করি রাষ্ট্র এ নিয়মটা জানে, রাষ্ট্র আসবে অরক্ষিতের পর।

এটি কি শ্রীলঙ্কার একটি সাংস্কৃতিক বিষয়, যা চেষ্টা করে হাসতে পারা, যা আপনি করছেন; নতুবা কাঁদতে হবে?

এটা কিছু ক্ষেত্রে বলে মনে হচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের ভয়ঙ্কর পেট্রোল সারি ছিল, তবে সেটা আকর্ষণীয় জায়গায় ছিল। স্পষ্টতই সেখানে প্রচুর উত্তেজনা, হতাশা ও রাগ ছিল। তবে সেখানে লোকেরা তাস খেলছিল, রসিকতা করছিল, বন্ধুত্ব করছিল। আমি মেমের মাধ্যমে আরাগলায়া আত্মস্ত করেছি, জোকস অনলাইন ও হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করেছি। এর মধ্যে কিছু ছিল বেশ ভোঁতা; কিন্তু সংবাদচক্রের মধ্যে এই ধারণা হবে আমরা মেম (সবসব) তৈরি করতে পারি। আর তার পরেই আছে শ্রীলঙ্কার হাসি।

আমি প্রায়ই সন্দেহ করি যে, আমরা সবকিছুর জন্য হাসি, আর পর্যটকরা আমাদের একটি সুখী, বন্ধুত্বপূর্ণ জাতি বলে ভুল করে। তবে আমি মনে করি আমরা যখন বিভ্রান্ত বা রাগান্বিত হই তখনো আমরা হাসি; কারণ আমরা কাউকে হারাতে চাই না। আমরা দ্বন্দ্ব পছন্দ করি না, তাই আমরা ভেতরে ধাক্কা খেলেও হাসি। ব্যক্তিগতভাবে, আমিও উপভোগ করি আর কার্ল মুলারের (১৯৩৫-২০১৯) সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হই, যেটির কাছে হাস্যরসের একটি বাজে অনুভূতি রয়েছে।

আর অনুমান এই দুটি উপন্যাসে কথক নির্বাচন তা-ও জানান দিয়েছে। প্রথমজন মদ্যপ চাচা আর দ্বিতীয়জন সমকামী। উভয়ই তাদের হাস্যরস ও চতুরতার জন্য পরিচিত। হয়তো এটাই আমার সংবেদনশীলতা। এমনকি আমি যখন একটি নিবন্ধ লিখি, আমি বিশুদ্ধ সাংবাদিকতার মতো লিখতে যাই না। আমি মজা করার জন্য কিছু অযৌক্তিক জিনিস খুঁজে পাই বা তা নিয়ে ক্যারিশমা করি। অন্যথা শ্রীলঙ্কা পড়ার খুব বাজে অবস্থা তৈরি করতে পারে।

এখন আপনার ফলকে কী আছে? আমরা শিগগিরই আপনার কাছ থেকে কী দেখতে পাব?

বুকারের দীর্ঘ তালিকাসহ হঠাৎ এজেন্ট ও প্রকাশকরা আমাকে কল করছে। যখন ‘চ্যাটস উইথ দ্য ডেড’ বের হয়েছিল, তখন মহামারী ছিল। আমি কারও কাছ থেকে কল পাইনি। আমার একটি ছোট গল্পের সংকলন আছে- ‘বার্থ লটারি এন্ড আথার সারপ্রাইজেস’। এটি অক্টোবরে উপমহাদেশে ও আগামী বছর অন্যত্র বের হবে। আমি তৃতীয় উপন্যাস নিয়ে কাজ করছি। ‘৮০০’ মুত্তিয়া মুরালিধরনকে নিয়ে নির্মিত ছবিটি এতদিন আটকে থাকার পর সম্প্রতি শুটিং হয়েছে। আমি স্ক্রিপ্টটি লিখেছিলাম; কিন্তু প্রযোজনার সাথে জড়িত ছিলাম না, তাই আশা করি এটি ভালো হবে। আর শিশুদের বই নিয়ে আমার ব্যস্ততা। আমি প্রতিবছর এক জোড়া কাজ করি।

‘চায়নাম্যান’-এর পরে আমি যা শিখেছি তা হলো- নিজের বইটি লিখে পরে কী হচ্ছে তা দেখার জন্য বসে থাকার দরকার নেই। যা ভাবা হয়, তা অনেক সময় হয় না। আপনাকে কেবল পরেরটিতে যেতে হবে, ব্যস্ত থাকতে হবে আর আশা করে লেগে থাকতে হবে। আমি অশ্বারোহণ উপভোগ করছি। আমি আশা করি এটা শেষ হবে সেপ্টেম্বরে (বুকার জয়ের আশা- অনুবাদক)। একজন জুয়াড়ি হিসেবে যে ভূমিকা আমার ভালো লাগে সেটা নিয়ে আমি খুশি ও কৃতজ্ঞ।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //