নভেম্বরে ৪৪তম বিসিএসের সার্কুলার

সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৪৪তম সাধারণ বিসিএসের সার্কুলার আগামী নভেম্বর মাসেই জারির পরিকল্পনা করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সেই লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দ্রুত শূন্য পদের চাহিদা প্রস্তুত করে পিএসসিতে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে। 

এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের পর অফিস খুললেই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, শূন্য পদের চাহিদা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আশা করছি, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে শূন্য পদে চাহিদা পেলে আগামী অক্টোবর নতুবা নভেম্বরের মধ্যেই ৪৪তম বিসিএসের সার্কুলার দেয়া সম্ভব হবে। করোনার কারণে চাকরিপ্রার্থীদের অনেকের চাকরিতে আবেদনের বয়স চলে যাচ্ছে। এটি বিবেচনা করে দ্রুত ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পরিকল্পনা আছে।

করোনার কারণে সব সরকারি চাকরির সার্কুলার প্রায় বন্ধ। প্রতি বছর একটি করে বিসিএস দেয়ার টার্গেট রয়েছে পিএসসির। এবারো সেই টার্গেট অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। করোনা সংকটের মধ্যেই চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ দুটি বিসিএস ৩৯তম, ৪২তম ও ৪৩তম সাধারণ বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশ করে পিএসসি। ইতিমধ্যে ৩৯তম বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। ৪২তম বিসিএসের মাধ্যমে আরো ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। 

মহামারির সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখীর কারণে চলমান ৪০তম সাধারণ ও ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

গত ৩০ নভেম্বর বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগে ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে তা কয়েক দফা বাড়িয়ে আবেদনের তারিখ গত ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আজকালের মধ্যে ৪৩তম বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা প্রকাশ করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে।

এদিকে ৪১তম সাধারণ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডারের ২ হাজার ১৩৫ পদের বিপরীতে প্রায় পৌনে ৫ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষায় অংশ নেন। ৫ জুলাই এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের টার্গেট করেছিল কমিশন। কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হলে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে পিএসসি সূত্র জানিয়েছে। 

এছাড়াও ৩৮তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির শূন্য পদের চাহিদা এলে আরো আরেকটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রথম শ্রেণির পদে এর আগে তিন দফায় ১ হাজার ৭৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। সর্বশেষ গত ৩০ জুন দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ১ হাজার ১৩৯ জন চাকরি প্রার্থীর নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।