ইকুয়েডরের রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসোর পদত্যাগ দাবি করেছেন দেশটির বিরোধী দলীয় আইন প্রণেতারা। দেশটিতে টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের দাম কমাতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পর এই দাবি উঠল।
ইকুয়েডরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বামপন্থী নেতা রাফায়েল কোরেয়ার নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের রাজনৈতিক জোট ও ইউনিয়ন ফর হোপ-ইউএনইএস এক টুইটে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে লিখেছে, ‘নির্বাচনের জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, তা এগিয়ে আনতে হবে।’
যদিও দেশটির অন্যান্য আইনপ্রণেতা বলেছেন, তাঁরা বিরোধীদের সমর্থন করবেন না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৪ জুন শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভ-প্রতিবাদ বেশ কয়েকবার সহিংস রূপ নিয়েছে। সে সময় দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়। এই বিক্ষোভের ফলে দেশটির পার্লামেন্টে বেশ চাপের মুখে রয়েছে গুইলারমো ল্যাসো। কারণ, বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারাই তাঁর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কার প্রস্তাব আটকে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ল্যাসো দেশটির অর্থনৈতিক সংকটের জন্য মাদক গ্যাংগুলোকে দায়ী করেছেন।
দেশটির সংবিধান অনুসারে যেকোনো জাতীয় সংকটের সময় আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্টের অপসারণ এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেন।
ইউএনইএসের আইনপ্রণেতা ফুসতো জারিন বলেছেন, ‘জাতির পক্ষে এই অস্থিরতা আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি প্রেসিডেন্টকে অপসারণে দেশটির পার্লামেন্টে বিতর্কের আয়োজন করে তাঁকে অপসারণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, অন্যান্য দলের আইনপ্রণেতাদেরও এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা উচিত।
এদিকে গুইলারমো ল্যাসোকে অপসারণ করতে হলে দেশটির পার্লামেন্টের ১৩৭ সদস্যের মধ্যে ৯২ জনের সমর্থন লাগবে। তবে প্রেসিডেন্ট নিজে চাইলেও পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচন আহ্বান করতে পারেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : ইকুয়েডর প্রেসিডেন্ট বাম
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh