নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:০১ পিএম
কতোজন বিদেশি বৈধ ও অবৈধভাবে বাংলাদেশে কাজ (চাকরি ও ব্যবসা) করছেন তার সব তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এসব বিদেশি কি পরিমাণ অর্থ নিচ্ছেন এবং বাংলাদেশ কি পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারও হিসাব চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), এনজিও ব্যুরো এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) ৬০ দিনের মধ্যে এই তথ্য হাইকোর্টে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনজুর নাহিদের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
রুলে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ ও তাদের কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া থাকা বিদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বেপজা, এনজিও ব্যুরো এবং বিডাসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিদেশিদের চাকরি ও ব্যবসা করা নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে গত ১০ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ বিদেশি কাজ করছে। এদের মধ্যে মাত্র এক লাখের ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে। এসব বিদেশিরা বছরে ৫ শ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী বিদেশিদের বাংলাদেশে কাজ করতে হলে বিডা থেকে অনুমতি লাগবে। কিন্তু এটা ছাড়াই বিপুলপরিমাণ বিদেশি কাজ করছে। কারো কারো বেতন বিদেশেই পরিশোধ করা হচ্ছে। কিন্তু তারা ট্যাক্স দিচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশ বিপুলপরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh