মাজেদের সঙ্গে দেখা করলেন পরিবারের সদস্যরা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদের সঙ্গে সাক্ষাত করছেন পরিবারের ৫ সদস্য।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মাজেদের স্ত্রীসহ পরিবারের ৫ সদস্য তার সঙ্গে দেখা করে কারাগার ত্যাগ করেছেন।

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- মাজেদের স্ত্রী, তার শ্যালক ও চাচাশ্বশুরসহ আরো দুই আত্বীয়। 

গত সোমবার রাতে রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন কলকাতায় আত্মগোপন করেছিলেন। এরই মধ্যে এই খুনির রায় বাস্তবায়নের সব প্রক্রিয়া শেষ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মাজেদের রায় বাস্তবায়ন হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯৯৬ সালে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

তারা হলেন, লেফট্যানেন্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লেফট্যানেন্ট কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লেফট্যানেন্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লেফট্যানেন্ট কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার)।

এছাড়া এ মামলার পাঁচ আসামি বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। পলাতক এ পাঁচজন হলো, আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। এদের মধ্যে কানাডায় নূর চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাশেদ চৌধুরী। মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে ও শরিফুল হক ডালিম স্পেনে আছে। তবে খন্দকার আবদুর রশিদ কোনো দেশে অবস্থান করছে, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। সোমবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তাতার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টায় মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরে বুধবার (৮ এপ্রিল) আব্দুল মাজেদ প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তা নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তার ফাঁসি যে কোনো সময় হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।


 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //