দুদকের ভুল তদন্ত
আইন-আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০২:০৮ পিএম
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৩৯ পিএম
আইন-আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০২:০৮ পিএম
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভুল তদন্তের ওপর নোয়াখালীর নিরপরাধ কামরুল ইসলামকে দেয়া ১৫ বছরের সাজার রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
একইসাথে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সাজা পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত রায়ে বলেন, যদি আবেদনকারী ক্ষতিপূরণের বিষয়ে দুদকে আবেদন করেন, তখন দুদক যেন বিবেচনা করে।
আদালতে কামরুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে দুদকের ভুল তদন্তে কামরুল ১৫ বছরের সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। এদিকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে ভুলের কথা স্বীকার করেছে ক্ষমা চায় দুদক।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এসএসসির মার্কশিট ও সনদপত্রে জালিয়াতি করে নোয়াখালীর মাইজদী কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন পশ্চিম রাজারামপুর কামরুল ইসলাম। পরে জালিয়াতির ঘটনা নজরে আসায় কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে ২০০৩ সালে মামলা করেন শহীদুল ইসলাম। মামলার এজাহারে আসামির ঠিকানা ‘পশ্চিম রাজারামপুর’ থেকে হয়ে যায় ‘পূর্ব রাজারামপুর’।
এরপর তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তদন্ত কর্মকর্তা (দুদকের উপপরিচালক) মাহফুজ ইকবাল এ মামলার তদন্ত করেন ও ভুল আসামির বিরুদ্ধেই নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলা দায়েরের প্রায় ১০ বছর পর ২০১৩ সালে দুদক ওই চার্জশিট দাখিল করে। পরে আসামিকে পলাতক দেখিয়ে নোয়াখালীর বিচারক আদালতে শুরু হয় এর বিচার কার্যক্রম। এ মামলার চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে রায় দেন আদালত। জালিয়াতির অপরাধে মোট তিনটি ধারায় ভুল আসামিকে (পূর্ব রাজারামপুরের মো. কামরুল ইসলাম) পাঁচ বছর করে মোট ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
এদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিকে ধরতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন নোয়াখালীর আদালত। নামের মিল ও ঠিকানার ভুলে গ্রেফতারি পরোয়ানা পৌঁছায় পূর্ব রাজারামপুরে। এরপর কামরুল আইনজীবীর পরামর্শে মামলা ও পরোয়ানা থেকে বাঁচতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চান ও এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh