রাশেদ চিশতীর জামিন বাতিল, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে নিম্ন আদালতের দেয়া জামিন বাতিল করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একইসাথে বিচারিক আদালতকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদালতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাশেদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির।

আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে রাশেদকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় রাশেদুলকে গত ২৬ জানুয়ারি জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে দুদক। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি রাশেদকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসাথে তাকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। ওই আবেদনের শুনানির জন্য গত বৃহস্পতিবার আজকে দিন ধার্য করা হয়। আজ সে বিষয়ে আদেশ দেন আদালত।

গত বছরের ১৯ মে রাশেদকে একাধিক মামলায় বিচারিক আদালত জামিন দেন। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, তার স্ত্রী রোজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও  ব্যাংকটির গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতারের পর থেকে মাহবুবুল হক চিশতী ও রাশেদ চিশতী কারাগারে আছেন।