নর্থ সাউথের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের নামে দুদকের অর্থ আত্মসাৎ মামলা

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, চার সদস্য এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ মে) কমিশনের উপপরিচালক আরেফ সাদেক এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ৫ মে মামলা রুজু হয়।’

মামলার অনুসন্ধানকারী ও এজাহারকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

মামলার আসামিরা হলেন নর্থ সাউথের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দীন আহমেদ, সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিংয়ের আমিন মো. হিলালী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অফ অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সুপারিশ বা অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের কিছু সদস্যের অনুমোদন বা সম্মতির মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে ৯ হাজার ৯৬.৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে প্রদান/গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন আসামিরা।

পরবর্তী সময়ে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকজনের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন তারা। সে এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

এতে আরো বলা হয়, আসামিরা অবৈধ অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অপরাধ করেন।

তারা অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে হস্তান্তর এবং অবস্থান গোপন করে অর্থ পাচারের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। পাশাপাশি বেআইনি কার্যকলাপ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেরা অন্যায়ভাবে লাভবান হয়েছেন। তারা বেআইনি কার্যক্রম করার ক্ষেত্রে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে কমিশন বা ঘুষের আদান-প্রদান করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //