মুক্তি পেয়েছেন পি কে হালদারের সহযোগীর ২ মেয়ে

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কেলেঙ্কারির অভিযোগে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগীর দুই মেয়ে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে তারা মুক্তি পান। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) সাবেক পরিচালক মো. খবির উদ্দিনের মেয়ে শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন পি কে হালদার।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে (কোম্পানি কোর্ট) দুই মেয়ের আইনজীবী মো. আবু তালেব এই তথ্য জানান।

মো. আবু তালেব বলেন, ‘১১ সদস্যের মধ্যে দুই বোনসহ পরিবারের ছয় সদস্যের পাসপোর্ট ও দুই সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র র‍্যাবের কাছে জমা দেওয়ার পর গতকাল রাতে দুই বোনকে র‍্যাব হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অপর তিনজন সরাসরি খবির উদ্দিনের পরিবারের সদস্য নন, দূঃসম্পর্কের আত্মীয় বলে আদালতকে জানানো হয়। আদালত এ বিষয়ে আগামী সোমবার লিখিতভাবে জানাতে বলেছেন।

এর আগে গত ৭ মার্চ একই বেঞ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের ঋণখেলাপি ৬৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে তলব করেন। হাজির না হলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কথাও সেদিন বলেন আদালত। ওই তালিকায় শারমিন ও তানিয়া ছিলেন। তারাসহ ৩০ ব্যক্তি হাজির না হওয়ায় গত ১৯ এপ্রিল তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

এরপর গতকাল বুধবার ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডি ও শ্যামলী থেকে শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে আটক করে র‍্যাব-৩। পরে আদালতের আদেশ অনুযায়ী, দুপুরে তাদের হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে হাজির করা হয়। আদালত তাদের শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেন। তাদের পাসপোর্টও আদালতে জমা দেওয়া হয়।

খবির উদ্দিনসহ তার পরিবারের ১১ সদস্যের কাছে ১৯৬ কোটি টাকা পাবে বলে দাবি করছে পিএলএফএসএল। এই ঋণের ৫ শতাংশ অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে দেওয়া বলা হয়। এরপর তাদের র‌্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

র‍্যাব জানায়, পিপলস লিজিংয়ের কাছ থেকে শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা  ঋণ নিয়েছেন। তারা ২৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন এবং গতকাল কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছিলেন।

গত মে মাসে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর কয়েক দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন পি কে হালদার।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //