আইপিডিসি ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

চেক এবং গাড়ি ফেরত না দিয়ে তা আত্মসাৎ এবং হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান আব্দুল করিমসহ একই প্রতিষ্ঠানের ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে আল হাবিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি এ মামলা দায়ের করেন। এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় অন্য যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম বরকতউল্লাহ, ঋণ ম্যানেজম্যান্টের প্রধান মো. আশিক হোসাইন, ব্যবসা সহায়ক সদস্য দেলোয়েপ হোসেন, হেড অব সাপলাই চেইন মো. সোলায়মান সারওয়ার এবং অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার ইমরুল কায়েস। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আইপিডিসি থেকে ৬০টি কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে গাড়ি কেনার জন্য ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন হাবিবুর। কিন্তু ঋণের টাকা ছাড় হওয়ার আগেই ঋণ পরিশোধ বাবদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৭৯৩ টাকা করে ৬০টি চেক নিয়ে নেয় আইপিডিসি। ঋণের টাকায় নিটল টাটা থেকে ১০টি গাড়ি কেনা হয়। যা নিটল টাটাকে সরাসরি পরিশোধ করে আইপিডিসি। সেই ঋণের সর্বশেষ কিস্তি (সুদসহ) গত ৩০ জুন মোট ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮০ টাকা আইপিডিসিকে পরিশোধ করে আল হাবিব এন্টারপ্রাইজ। একইভাবে গাড়ি কেনার জন্য ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ৬০ কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশে সুদে আরও ৫ কোটি টাকা ঋণ নেয় আল হাবিব এন্টারপ্রাইজ। যথারীতি ঋণের টাকা ছাড়ের আগেই ঋণের বিপরীতে ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৬৯৫ টাকা করে ৬০টি কিস্তির চেক জমা নেয় আইপিডিসি। এই ঋণের টাকায় র‍্যাংগস মটরস থেকে ১৫টি গাড়ি কেনা হয়। যা র‍্যাংগস মটরসকে সরাসরি পরিশোধ করে আইপিডিসি। গত ৩০ অক্টোবর এই ঋণের সর্বশেষ কিস্তিসহ সুদে-আসলে মোট ৬ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ টাকা আইপিডিসিকে পরিশোধ করে আল হাবিব এন্টারপ্রাইজ।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ২৫টি গাড়ি কেনার জন্য আইপিডিসি থেকে মোট ৮ কো‌টি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নেয় আল হাবিব এন্টারপ্রাইজ। শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে সুদে-আসলে ১০ কো‌টি ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু দুটি ঋণের সব টাকা পরিশোধ করা হলেও এখনও পর্যন্ত আমাদেরকে অনাপত্তিপত্ত দিচ্ছে না লিজিং প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি। যে কারণে গাড়ির মালিকানাও বুঝে পাচ্ছে না আল হাবিব এন্টারপ্রাইজ। উল্টো এখন এক কো‌টি ৫ লা‌খ টাকা গোপন সু‌দ দাবি করছে আইপিডিসি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //