ড. ইউনূসের দানকর ফাঁকির মামলার রায়ের দিন ধার্য

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা দানকর ফাঁকির মামলার রায় ৩১ মে। দীর্ঘ ৭ বছর পর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন উচ্চ আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মে)  বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

অ্যাটর্নি জেনারেলে এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, উনি (ড. ইউনূস) বলেছেন, টাকা দান করেছেন। তাই কর অব্যাহতি পাবেন। আর আমরা বলেছি, কর অব্যাহতির যেসব কারণ উল্লেখ করা আছে, সেগুলোর মধ্যে তারটা পড়ে না। এজন্য তাকে দানকর দিতে হবে। আদালত শুনেছেন। পরে আগামী ৩১ মে রায়ের দিন ঠিক করেছেন।

মামলা থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে ড. ইউনূসকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয়া হয়।

দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এইসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।

তার এই মামলার শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে খারিজ করে রায় দেন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর হাইকোর্টে তিনি পৃথক তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।

হাইকোর্ট তার মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন। এই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ঠিক করলেন উচ্চ আদালত।

ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান শুনানিতে বলেন, আয়কর পরিশোধ করেই টাকা দান করেছেন তিনি। আর দান করার কারণে আইন অনুযায়ী তিনি পাবেন কর অব্যাহতির সুবিধা। 

আইনজীবী আরও জানান, ইউনূসের উপার্জনের মূল উৎস বক্তৃতা দেয়া। এতে প্রতি বক্তব্যের জন্য তিনি নেন ৫০ হাজার ডলার। ডলারের বর্তমান দাম অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ টাকা। যদিও পরে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ড. ইউনূস।

ডক্টর ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১১০০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে উচ্চ আদালতে। এছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //