প্রসঙ্গ: এইচএসসি পরীক্ষা

করোনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা বিলম্বিত হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই উচ্চশিক্ষায় সেশনজটের ঝুঁকি বাড়ছে। যেহেতু পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণে আইনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় কীভাবে ন্যূনতম মাত্রায় সেটি নেওয়া যায়—এ প্রশ্নই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এসংক্রান্ত কিছু সুপারিশ—১. পরীক্ষার্থীরা প্রতিটি বিষয়ের ১ পত্র করে পরীক্ষা দেবে—বিজোড় রোল নম্বরধারীরা ১ম পত্র এবং জোড় রোল নম্বরধারীরা ২য় পত্র। এতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা হবে; ২. পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টার স্থলে ২ ঘণ্টা করা যেতে পারে; ৩. এমসিকিউ ২০টির উত্তর দেবে; ৪. উদ্দীপক ৭-এর স্থলে ৫ এবং ৫-এর স্থলে ৪টির উত্তর লিখবে; ৫. ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রয়োজন নেই; ৬. ঐচ্ছিক ৩টি বিষয়ের মধ্যে ১টির (ছাত্রের পছন্দমতো) পরীক্ষা প্রমার্জন করা যেতে পারে, তাতে হলে পরীক্ষার্থীর ঘনত্ব আরো কমবে; ৭. এক্ষেত্রে (১৩ পত্র x৩=৩৯ ঘণ্টা+ব্যবহারিক ৫)= মোট ৪৪ কর্মঘণ্টার পরীক্ষা মাত্র দশ কর্মঘণ্টায় বা ২৩ শতাংশ সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, বিপরীতে ৭৭ শতাংশ ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি কম হবে; ৮. আনুপাতিক হারে নম্বর সংশ্লিষ্ট অন্য ক্ষেত্রে প্রদত্ত হবে; ৯. সৃজনশীল নয় এমন বিষয়ের ৬৫ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর লিখবে; ১০. কোনো অভিভাবক কেন্দ্রে আসবেন না; ১১. প্রবেশপত্রের সঙ্গে বিশেষ নির্দেশনার ১টি কপি পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করতে হবে। প্রসঙ্গত, একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ স্যারের আগে ৩৯ মাস সেশনজট ছিল। বর্তমানে সেই সেশনজট নেই। সেশনজটের কারণে ৩০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর জন্য জাতিকে প্রতিবছর যে আর্থিক দায় বহন করতে হয়েছে, তা প্রায় পদ্মা সেতুর খরচের সমান। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছিল এবং এখনো কিছু আছে। সেশনজটের ভয়াবহতা এ থেকে সহজেই অনুমেয়। কাজেই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে সমাধান হওয়া প্রয়োজন। কারোনার কারণে করুণা করতে কসুর করা কাম্য নয়।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //