ডাকপিয়নের দেখা নেই!

প্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি খুব সহজেই। চোখের পলকেই হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে, যা আমাদের বন্ধন সুদৃঢ় রাখতে সাহায্য করছে। তথ্য ও প্রযুক্তির উত্কর্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুক জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এছাড়াও টুইটার, ইমো, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াস্ট অ্যাপ ইত্যাদিরও তুমুল জনপ্রিয়তা বর্তমানে। মুহূর্তে ভিডিওকলে দেখা যাচ্ছে, অডিওকলে কথা বলা যাচ্ছে ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহারে। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও যোগাযোগের প্রথম মাধ্যম ছিল চিঠি। মানুষ অপেক্ষায় প্রহর গুনত কখন প্রিয়জনের পাঠানো চিঠি আসবে। ডাকপিয়ন চিঠি নিয়ে এলে অন্যরকম এক অনুভূতি জাগত মনে। চিঠির সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক ছিল। দূর-দূরান্ত থেকেও চিঠি আসতে অনেকদিন সময় লাগত, কিন্তু মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত একটি চিঠির জন্য। একসময় এই চিঠির মাধ্যমেই মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করত, প্রেমিকা প্রেমিকার কাছে ভালোবাসা প্রকাশ করত। চিঠি আজকাল আসে না ডাকঘরগুলোতে! ডাকপিয়নেরা বসে বসে ঝিমায়। সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ডাকঘরগুলোতে ৩০০০ ডাকপিয়নের পদ খালি রয়েছে, সরকার থেকে যে অনুদান দেওয়া হয় তা এলাকার প্রভাবশালীরা ভোগ করছে। রাস্তার পাশের ডাকবাক্সগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে—কেউবা ময়লার ভাগাড় বানিয়ে ফেলেছে! ডাকবাক্সের ওপরের অংশ চুরি হয়ে গেছে। আমাদের উচিত চিঠির আদান-প্রদান বজায় রাখা।



সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : ডাকপিয়ন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //