বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থায় শিশুমন ক্রমশই বইবিমুখ হয়ে পড়ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আধুনিকতার নতুন অনুষঙ্গ মোবাইল ফোন। যার ফলে শিশুরা হারাচ্ছে তাদের সহজ, নির্মল শৈশব। যা শিশুদের সৃজনশীল মেধা বিকাশের প্রধান অন্তরায়। এটি একটি সামাজিক সমস্যা, যা পরে জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য একটি পদক্ষেপ হতে পারে সামাজিক পাঠাগার।
পাঠাগার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি দিয়েই শুরু করি। তিনি বলেছেন, “এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে।” পাঠাগার মূলত মানবসভ্যতার নীরব দলিল। শিশুকে সুনাগরিক করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাবা-মার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার মতোই গুরুত্বপূর্ণ পাঠাগারের ভূমিকা।
পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় যদি পাঠাগার গড়ে তোলা যায় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো পাঠাগারকেও সুনাগরিক করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা যায় তাহলে সমাজে বখে যাওয়া তরুণদের হাতে নেশার বদলে বই উঠে যাবে অনায়াসেই।
নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : মেধা বিকাশ বই শিক্ষাব্যবস্থা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh