পাল্টে ফেলুন ভাবনা-চিন্তা

জীবনে যদি অভ্যাসগত কিংবা আচরণগত পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে কাগজ-কলমে লক্ষ্য লিখে এরপর সময় দিয়ে নিজেকে বদলাতে হবে। একটু সময় নিয়ে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ালেই কিন্তু জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। এভাবেই ধীরে ধীরে বদলে ফেলুন নিজেকে, নিজের সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনাগুলোকে।

তারুণ্যের এগিয়ে যাওয়াটা হোক ইতিবাচক সুন্দর জীবন উপভোগ করার মধ্যে দিয়ে। হুট করেই কি নিজেকে বদলে ফেলা যায়? সকালে ঘুম ভেঙেই কি নিজেকে বদলে ফেলতে পারবেন?

নিজেকে ইতিবাচক উপায়ে পরিবর্তন করতে হলে নিজেকে সময় দিতে হবে, নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। মনে মনে যদি পরিবর্তন চান, তাহলে কখনই নিজেকে বদলে ফেলা যাবে না।

যা পরিবর্তন করতে চান তা নির্ধারণ করুন:

মনে করুন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিদিন সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন। তাহলে একটি কাগজে তা লিখে প্রতিদিন চোখে পড়ে এমন জায়গায় সাঁটিয়ে রাখুন। এভাবে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। হুট করেই কাল সকালেই ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না। আর উঠলেও পরশু দিন আবার ওঠার আগ্রহও চলে যেতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কী কী করবেন, তা ঠিক করুন।

সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় স্থির থাকুন:

আমাদের মস্তিষ্ক অনেক সময় মনে করিয়ে দেয় যে কোনো কাজগুলো শুরু করেও আমরা শেষ করিনি। আর এ কারণে যখন আপনি মনোযোগ দিয়ে কোনো কাজ করছেন তখন দেখবেন আরেকটি বিষয় মনে এসে কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে দিচ্ছে। কোন কাজটা আগে করবেন তা লিখে ফেলুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন।

প্রতিকূল বিষয়গুলোর মোকাবেলা করুন:

যেসব বিষয় এগোতে দিচ্ছে না বা দমিয়ে রাখছে সেগুলোর মুখোমুখি হোন। হয়তো মনে হবে বিষয়টি সুখকর নাও হতে পারে। তারপরেও মোকাবেলা করুন। দেখবেন শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্টিই আসবে।

সারাদিন গুছিয়ে নিন:

জীবনের একটি বিষয়ে ইতিবাচক পরিবতন আনতে চাইলে পুরো দিনকেই সেভাবে সাজাতে হবে। হয়তো সকালে ঘুম থেকে ওঠেন কিন্তু সারা দিন কোনো রকমেই হাঁটাচলা না করে পার করে দেন। এমনটা করবেন না, একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।

ইতিবাচক মনের মানুষদের খুঁজে বের করুন:

একা একা নিজেকে পরিবর্তন করা বেশ কঠিন একটি কাজ। সমমনা মনের মানুষ বা বন্ধুদের খুঁজে বের করুন। তাদের সহায়তা নিন। যারা নেতিবাচক কথা বলেন, তাদের এড়িয়ে চলুন।

যেখানে আগ্রহ, সেখানে সময় দিন:

আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে, সেখানে সময় দিন। কাজের গুণগত মান উন্নয়নে সময় দিন। কীভাবে প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

প্রতিদিন শিখুন:

প্রতিদিন নিজেকে শেখার পরিবেশে রাখুন। চারপাশ থেকে শিখুন। নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। নিজেকে কখনই ছোট ভাববেন না। ছোট-বড় সবার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। পুরনোকে নতুন করে শেখার মাধ্যমে নিজেকে ইতিবাচক কাজে ব্যস্ত রাখুন।

বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন:

একেক জনের একেক রকমের বদ অভ্যাস থাকে। কিছু লোক আছেন শুধু অলস আর কাজের প্রতি অনীহা। এটাও এক ধরনের বদ স্বভাব। এসব ত্যাগ করতে পারা হচ্ছে প্রথম উদ্যোগ। নিজেকে পরিবর্তনের জন্য এটি সবার আগে জরুরি।

পরিশ্রমী হয়ে উঠুন:

পরিশ্রম হচ্ছে সৌভাগ্যের একমাত্র চাবি। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে পরিশ্রমী হতেই হবে। অন্যথায় সফল হওয়া সম্ভব নয়।

চাই সুস্থতা:

সুস্থ থাকার জন্য দরকার হচ্ছে যেসব কারণে অসুখ-বিসুখ হয় সেসব কারণ এড়িয়ে চলা। এ ছাড়াও ভালো মানের খাবার নিয়মিত খেয়ে আর অন্যান্য শরীরচর্চা করে দিন কাটালে অনেকটা সুস্থ থাকা যায়।

ধৈর্যশীল হয়ে উঠুন:

প্রবাদ আছে সবুরে মেওয়া ফলে। যে কোনো কিছু পেতে হলে, অর্জন করতে হলে মনে জোর নিয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়। রাগে কিংবা অন্যান্য খারাপ পরিস্থিতিতেও ধৈর্য ধারণ করতে হয়। তাই ধৈর্যশীল হোন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //