করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে চাকরির বাজারের সব কাজ। সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্কুলার তো নেই-ই, পূর্ব ঘোষিত চাকরির পরীক্ষাও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে। এতে হতাশ হবেন না।
কারণ হতাশা শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়, যা করোনার সাথে যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিকর। যেসব তরুণ-তরুণী করোনা শুরুর আগে থেকেই নতুন চাকরির চেষ্টা করছিলেন বা কাক্ষিত চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তারা সেই চাকরির অপেক্ষায় না থেকে যা পাওয়া যাবে, তা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করুন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো করোনার সাধারণ ছুটির সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যয় কমাচ্ছে। তাই সরকারি চাকরি ছাড়া অন্য সব খাতের নতুন চাকরির বাজার সংকুচিত হবে। কিন্তু সবাই সরকারি, বড় প্রতিষ্ঠান বা অফিসিয়াল চাকরির খোঁজে থাকলে চলবে কেন!
যেকোনো ধরনের চাকরি পেলেই সেটা শুরু করে দিতে হবে। অনেকটা ‘বেকার থাকার চেয়ে’ ব্যাগার খাটা ভালোর মতো। এতে অভিজ্ঞতা বাড়বে। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অন্য চাকরির জন্য পড়াশোনা ও চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। প্রচলিত যে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, তার পাশাপাশি চাকরির বাজারে নিজের দক্ষতা বাড়াতে এই সময়টাকে কাজে লাগান। এত বড় অবসর তথা সুযোগ আর পাবেন না।
অর্থনীতিকে সচল রাখতে যে ‘নতুন জীবন ব্যবস্থায়’ সারাবিশ্বের মানুষকে প্রবেশ করতে হয়েছে সেই জীবনে সম্ভাবনাময় নতুন খাত হতে পারে অনলাইন বা ই-কমার্স। তাই এই অবসরে ডিজিটাল প্রোডাক্ট, জিগ ইকোনমি, অনলাইন কোচিং সেন্টার, মেন্টাল হেলথ, ইন্স্যুরেন্স, অল্টারনেটিভ এনার্জি, ডেটা সায়েন্সসহ অনলাইনভিত্তিক নানা কাজ শিখে নিন। নতুন চাকরিতে প্রবেশ করার আশায় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বা নতুন চাকরির খোঁজে ব্যস্ত ছিলেন, তারা সেই অপেক্ষায় না থেকে বরং উদ্যোক্তা হয়ে যান।
সর্বপরি ধৈর্য ও স্থিরতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম ও মেডিটেশন করুন। এতে আত্মবিশ্বাস, কর্মদক্ষতা ও মনোযোগ বাড়বে। মনে রাখবেন বর্তমানের বদ্ধ পরিবেশ একদিন কেটে যাবে অবশ্যই। জীবনের সব পরিস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবে নিন। প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি পাচ্ছেন না বলে হতাশ হবে না। ঘরে বসে কাজ করায় সন্তান যে আপনার কাছেই আছে, তা ভেবে এখন কাজ শেখায় ও করায় মন দিন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh