অনেকেই কুকুর, বিড়াল ও পাখি পোষেন। সারাদিনের কাজ শেষে এই পোষা প্রাণীগুলো ক্লান্তি দূর করে আমাদের নানাভাবে বিনোদন দেয়। দেখায় ভালোবাসা আর মমত্ব। পোষা প্রাণী পরিবারের সদস্য বা ভালোবাসার মানুষের চেয়েও বেশি মানসিক চাপ কমায়। নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, চাপযুক্ত কোনো কাজের সময় পোষা প্রাণী সঙ্গে থাকলে মানুষ অনেক বেশি চাপমুক্ত থাকে। পরিবারের সদস্য, সঙ্গী বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর চেয়েও বেশি।
পশু-পাখি পুষলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। এর কারণ, পোষা প্রাণীর পেছনে অনেকটা সময় দিতে হয়। দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। আর অ্যাকটিভ থাকার কারণেই রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাই যারা অলস জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাদের জন্য প্রাণী পোষা হতে পারে দারুণ স্বাস্থ্যকর। যারা কুকুর পোষেণ তাদের হার্টে ব্লক হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। কারণ, কুকুরদের সঙ্গে অনেক দৌড়াদৌড়ি ও খেলাধুলা করতে হয়।
পাঁচ হাজার ২০০ জন কুকুর মালিকের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখে গেছে কুকুর নেই- ব্যক্তিদের চেয়ে কুকুর আছে এমন ব্যক্তিদের শারীরিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার হার ৫৪ শতাংশ বেশি। মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার বা বিষণ্ণতায় ভুগছেন, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যারা কুকুর পোষেণ, তাদের ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার হার অনেকটাই বেশি। অন্য প্রাণী পুষলেও তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। পোষা প্রাণী নিঃশর্ত ও সহজ ভালোবাসা প্রদর্শন করে, যা কোনো ব্যক্তির নিজের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাখিকে পোষ মানালে সে অনেকসময় মানুষের নাম ধরেও ডাকে। সারাক্ষণ ঘর মাতিয়ে রাখে। এতে মন অনেক প্রফুল্ল হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : পোষা প্রাণী কুকুর
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh